পাঁচ দিনের লড়াই শেষে জীবনযুদ্ধে হেরে গেল নির্যাতিতা। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার রাতে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ঘোলা এলাকায় এক যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। মেয়েটি নিজেকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করে। এরপর দুষ্কৃতীরা বারবার মেয়েটির শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং গলা কেটে পালিয়ে যায়। এরপর মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সোমবার মধ্যরাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী মেয়েটিকে অন্ধকার বাঁশ বাগানে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। মেয়েটি যেতে অস্বীকার করলে তার গলায় ও শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে এক ব্যক্তিকে আটক করে। ধৃত আশিস পালকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাত থেকে আরজি করে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে তিনি মারা যান।
পাঁচ দিন লড়াইয়ের পর আরজিকর হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। ঘটনার পর থেকে দুই অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। দুজন নিখোঁজ হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা। এর আগেও তারা হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা পুলিশকে এ তথ্য দেন। অভিযুক্তদের ফাঁসি দাবী করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। প্রশাসন কাজ করছে। অভিযুক্তরা এখনও ধরা পড়েনি। আমরা প্রার্থনা করি অভিযুক্তকে যেন ধরা হয় এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।”
No comments:
Post a Comment