আজকাল খারাপ জীবনযাত্রার কারণে স্থূলতা বৃদ্ধি মানুষের একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে মানুষের মধ্যে হাঁপানি, ডায়াবেটিস, সুগার, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগও বাড়ছে। শরীরের ওজন বৃদ্ধির অনেক কারণ রয়েছে, তবে একটি বড় কারণ হল মানুষ রাতে খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে যায় বা পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না করে। প্রতিদিন খাওয়ার পরে 10-15 মিনিট ওজন কমানোর এই টিপসগুলি করে আপনি কয়েক দিনের মধ্যে আপনার শরীরকে সঠিক আকারে আনতে পারেন।
খাওয়ার পরে হাঁটার সুবিধা
প্রতিদিন খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। এতে করে আপনার মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়, যার ফলে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমতে শুরু করে। এটি করার মাধ্যমে, আপনি স্থূলতার ঝুঁকিও অনেকাংশে এড়াতে পারেন।
খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি শরীরের পরিপাকতন্ত্রকে পুরোপুরি ফিট রাখে এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। হাঁটাহাঁটি করলে পেটের অভ্যন্তরীণ ফোলাভাব কমে যায় এবং পেট সংক্রান্ত সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়।
শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় টক্সিন দূর করে
খাওয়ার পর হাঁটলে শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় টক্সিন বের হয়ে যায়। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হাঁটার কারণে শরীরের নড়াচড়া হয়, যার ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ সিস্টেম ফিট থাকে।
আপনার যদি আশেপাশে দেখার জায়গা না থাকে বা আপনি এর জন্য পর্যাপ্ত সময় না পান তবে আপনার কাছে অন্য বিকল্পও রয়েছে। আপনি খাবার খাওয়ার পরে প্রায় 15-20 মিনিটের জন্য প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস করুন। এটি করার ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়া হয় এবং এটি বর্ধিত চর্বি কমাতে সাহায্য করে (ওজন কমানোর টিপস)। এতে করে বসার কারণে সৃষ্ট ক্লান্তিও দূর হয়।
এই কাজটি করতে ভুলবেন না
খাওয়ার পরপরই ঘুমানো উচিত নয়। এটি করার ফলে, শরীরের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ধীর হয়ে যায়, যার কারণে আপনি যে খাবার খান তা সহজে হজম হয় না। এ কারণে বদহজম ও পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়।
খাওয়ার পরপরই না ঘুমানোর পরামর্শের পেছনের দ্বিতীয় কারণটি হল খাবারের পর শরীরে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়, এতে শরীরকে হালকাভাবে চলাফেরা করতে হয়। যাতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে। এটা না করলে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহের অভাবে আমাদের শরীর অলস ও দুর্বল হয়ে পড়ে।
পাকস্থলীতে খাবার হজম হয় না
আমরা যদি প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়ি, তাহলে আমাদের শরীর গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স তৈরি করতে শুরু করে। যার কারণে সারাক্ষণ পেটে খিঁচুনি, ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা শুরু হয়। এর কারণ হল আমাদের পাকস্থলীতে থাকা খাবার ঠিকমতো হজম হয় না, ফলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি করতে থাকে।
No comments:
Post a Comment