শিশু মৃত্যুর কারণ হতে হতে পারে, এই আশঙ্কায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুধবার ভারতে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি সর্দি-কাশির সিরাপ সম্পর্কে একটি সতর্কতা জারি করেছে। গাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর পর এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ডব্লিউএইচও তাদের মেডিক্যাল প্রোডাক্ট রিপোর্টে বলেছে, ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের কাশি ও সর্দির সিরাপগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ডায়থাইলিন গ্লাইকল এবং ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া গেছে, যা অগ্রহণযোগ্য।
এর সাথে, ডব্লিউএইচও তাদের রিপোর্টে এই পণ্যটির বিষয়ে একটি সতর্কতা জারি করে বলেছে যে, বিতর্কিত প্রোডাক্টগুলি এতদিন গাম্বিয়াতে পাওয়া গেছে। এখন এটি অন্যান্য দেশেও বিতরণ করা হতে পারে। তথ্য অনুযায়ী, এর তদন্তের জন্য চারটি প্রোডাক্টের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এই ক্ষেত্রে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক, টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসস বলেছেন যে, চারটি প্রোডাক্টের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভারতের মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের তৈরি সর্দি-কাশির সিরাপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগীদের আরও ক্ষতি রোধ করতে সমস্ত দেশে এই জাতীয় পণ্য সনাক্তকরণ এবং অপসারণের সুপারিশ করেছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরে গাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশু মারা গেছে। বলা হচ্ছে, এই শিশুরা কিছু কাশির সিরাপ পান করেছিল, যার জেরে এই শিশুদের কিডনিতে সমস্যা সামনে এসেছিল। এর পর সরকার এখন এসব মৃত্যুর পেছনের কারণ খতিয়ে দেখছে।
এর আগে ডাব্লুএইচও কোভিড চিকিত্সার জন্য একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছিল। এই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছিল যে, সোট্রোভিমাব এবং ক্যাসিরিভিমাব-ইমডেভিমাব নামে দুটি অ্যান্টি-বডি ওষুধ কোভিড চিকিত্সায় ব্যবহার করা যাবে না। গাইডলাইনে বলা হয়েছিল যে, এই দুটি ওষুধই সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া করোনার ভেরিয়েন্টে অকার্যকর। ডব্লিউএইচও'র গাইডলাইন ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ অফ ইন্টারন্যাশনালের বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে পুনঃপরীক্ষা করেন এবং এই তদন্তের ফলাফল বিএমজে-তে প্রকাশিত হয়, যাতে এই দুটি ওষুধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment