জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গ্রহন একটি অশুভ ঘটনা হিসাবে বিবেচিত হয়। তাই এ সময়ে কোনো ধরনের শুভ কাজ করা উচিৎ নয়। এই দিনে মন্দিরে পূজা করাও নিষিদ্ধ। কিন্তু গ্রহনের সময় এক জায়গায় বসে ভগবানকে স্মরণ করলে এবং মন্ত্র উচ্চারণ করলে বহুগুণ বেশি ফল পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে এই সময়ে শাস্ত্রে এমন অনেক কথা বলা হয়েছে, যা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।
চন্দ্রগ্রহণের সূতক সময় ৯ ঘন্টা আগে শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে গ্রহন সহ জ্যোতিষশাস্ত্রে সূতক সময়েও অনেক কাজ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই সময় যদি সামান্য অবহেলা হয়, তবে ব্যক্তিকে বিপদের মুখে পরতে হতে পারে। আগামীকাল ৮ নভেম্বর পূর্ণিমা তিথিতে বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ হতে যাচ্ছে। এর সূতক সকাল থেকেই শুরু হবে এবং সূর্য অস্ত পর্যন্ত থাকবে।
গ্রহনের সময় কি করতে হবে
চন্দ্রগ্রহণের সময় পূজা, দান ও জপ ইত্যাদির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে পবিত্র নদী বা হ্রদে স্নান করা উপকারী । এ সময় মন্ত্র জপ করলে দ্রুত সিদ্ধি লাভ হয়।
এই সময়ে, ধর্মের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের তাদের রাশি অনুসারে বা যোগ্য ব্রাহ্মণের সাথে পরামর্শ করার পরে দান করা উচিৎ । এই দিনে গরীব-দুঃখীদের সাহায্য করতে হবে।
সুতকে এ কাজ করবেন না
জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে গ্রহনের সময় বা সূতকের সময় ভুলেও ঈশ্বরের মূর্তি স্পর্শ করা উচিৎ নয়।
এ সময় খাওয়া, পান করা, ঘুমানো, নখ কাটা, খাবার রান্না করা, তেল লাগানো ইত্যাদিও উচিৎ নয়।
সূতক কালে কারো সাথে মিথ্যা বলা, ছলনা, অনর্থক কথাবার্তা এবং প্রস্রাব ত্যাগ ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
কথিত আছে সূতক শুরুর আগে আচার, মোরব্বা, দুধ, দই এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে কুশা ঘাস রাখুন, যাতে সেগুলি দূষিত না হয়। কুশা না থাকলে তুলসী পাতাও রাখা যায়।
বলা হয় সূতকের সময় গর্ভবতী মহিলাদের পেটে গোবর লাগাতে হবে। এ সময় ছুরি, সুই ইত্যাদি দিয়ে কোনো কাজ করবেন না। এই সময়ে হাঁটা এবং ঘুম এড়িয়ে চলুন।
No comments:
Post a Comment