সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। এবং বিশেষজ্ঞদের ধারণা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক হামলা করতে পারেন। এমনটা হলে পৃথিবীতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ নেমে আসবে। কিন্তু এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে পারমাণবিক হামলা ধরা ছোঁয়ার বাইরে, সবথেকে নিরাপদ স্থান এগুলো। চলুন জেনে নেই দেশের জন্য সেই নিরাপদ স্থান গুলো কি-
অ্যান্টার্কটিকা:
১৯৬১ সালে, ১২টি দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল যার অধীনে এই স্থানে কোনও ধরণের সামরিক তৎপরতা করা যাবে না। এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলির মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, চিলি, ফ্রান্স, জাপান, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পরে আসে চীন, ব্রাজিল, জার্মানি, উত্তর কোরিয়া ও পোল্যান্ড।
আইসল্যান্ড:
এখানে জনসংখ্যা খুবই কম। এই দেশটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ইস্যু থেকে দূরে। এদেশে পারমাণবিক হামলার সম্ভাবনা খুবই কম।
গুয়াম দ্বীপ:
গুয়াম দ্বীপ হল প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্ব-শাসিত অঞ্চল। এখানে জনসংখ্যা মাত্র ১.৬ লক্ষ এবং ১৩০০ জনের একটি ছোট সেনাবাহিনী রয়েছে। এটিও সুরক্ষিত জায়গা।
পার্থ (পার্থ, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া):
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থও রাজনৈতিক বিষয় থেকে অনেক দূরে। এখানকার জনসংখ্যা ২০ লাখের বেশি।
কলোরাডো( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র):
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে শিয়েন পাহাড়ে একটি বিশাল বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে, এই বাঙ্কারটিতে ২৫ টন ব্লাস্ট দরজা রয়েছে। এটি ১৯৬৬ সালে রাশিয়ান পারমাণবিক হামলা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার সোভিয়েত বোমারু বিমান থেকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত হয়েছিল। এটিও সুরক্ষিত জায়গা।
ইজরায়েল:
ইসরায়েল ও এদেশের বন্ধুত্ব অনেক পুরনো এবং রাজনৈতিক পর্যায়েও দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। ইসরায়েল নিরাপদ হওয়ার কারণ হলো, এখানে অনেক ধর্মীয় স্থান রয়েছে।
No comments:
Post a Comment