গুজরাট ATS GST বিভাগের সাথে সুরাট, আহমেদাবাদ, জামনগর, ভারুচ এবং ভাবনগরের মত প্রায় 13 টি জেলায় 150 টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। এ সময় বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেফতার হয়েছে 61 জনের বেশি। এসওজি এবং স্থানীয় পুলিশও এই অভিযানে জড়িত। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে ভারতে অর্থ আনার ক্ষেত্রে কর ফাঁকি ও জাল বিলের নামে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে এই তদন্ত করা হচ্ছে। কয়েক দিন আগে, সুরাট পুলিশ প্রায় 500 কোটি টাকার র্যাকেটও ফাঁস করেছিল। এ সময় 21 জনকে আটক করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে, শুক্রবারও আয়কর দফতর গুজরাটের বেশ কয়েকটি জেলায় অভিযান চালায়। আইটি বিভাগের রাজকোট, ভুজ এবং গান্ধীধামে অনেক বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের উপর অভিযানে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। রিয়েল এস্টেট ও ফাইন্যান্স দালালদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণাও হয়ে গেছে। এখানে দুই দফায় 1 ও 5 ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমন সময়ে এটিএস, জিএসটি বিভাগ এবং আয়করের অভিযান রাজ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এসব অভিযানে কী পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে বা কী পরিমাণ কর ফাঁকি ধরা পড়েছে, তার তথ্য এখনও জানা যায়নি।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিধানসভা নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনে অবৈধ অর্থের ব্যবহার ঠেকাতে এত বড় পরিসরে সরকারি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনী ফলাফলের সাথে 8 ডিসেম্বর আসবে। গত 27 বছর ধরে গুজরাটে ক্ষমতায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
No comments:
Post a Comment