ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে তোলপাড়, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী বিজেপির - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 18 November 2022

ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে তোলপাড়, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী বিজেপির


'বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষ- যারা তৃণমূলকে সমর্থন করেন, তাদের নামই ভোটার তালিকায় তুলুন', নিদান দিয়ে বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং নির্বাচন কমিশনকে তৃণমূল বিধায়ককের মন্তব্যের বিষয়ে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির কথায়, একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির এই ধরণের মন্তব্য জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।

 

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে এই বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি। ক্ষমতাসীন দলের একজন বিধায়কের এমন মন্তব্য জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের বক্তব্যকে হালকাভাবে নেওয়া যায় না। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককেও চিঠি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। 


আরেক রাজ্য বিজেপি নেতার কথায়, “আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি এবং তাদের অনুরোধ করেছি যে, তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অনেক জায়গায় ক্ষমতাসীন দল তাদের প্রভাব খাটিয়ে ভোটার তালিকা কারচুপি করছে এবং জেলা প্রশাসন নীরব দর্শক। নির্বাচন কমিশনকে দেখতে হবে।  



যদিও বিজেপির অভিযোগকে বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি হয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “রাজ্যে বিজেপির কোনও জনাধার নেই। প্রতিটা ইস্যুতে হাতিয়ার করা ছাড়া তাদের আর কিছুই নেই। তৃণমূল কোথাও ভোটার তালিকা প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে না।


উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট, এরপর ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। এরই মাঝে গত মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান টাউন হলে বুথ লেবেল এজেন্ট এবং ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয় দলের নির্বাচনে এজেন্টরা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন খোকন। 


তিনি বলেন, "অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভোটারের বয়স হয়ে গেছে অথচ তার নাম ভোটার তালিকায় ওঠেনি। অনেক নতুন ভোটার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে আমাদের শহরে এসেছে। কোনও ভোটার হয়তো কোন ক্ষেত্রে বাদ চলে গেছে। তাছাড়া নতুন লোক তো আসছেই। নতুন লোক মানে বুঝতে পারছেন, সব বাংলাদেশ থেকে আসছে। তাদের নাম তুলতে যাওয়া আরও বেশি ক্ষতি, কারণ তারা হিন্দু হিন্দু করে বেশি বেশি ভোট দিয়ে দেয় বিজেপিকে। এটা আমরা দেখেছি। এখানে অস্বীকার করার কিছু নেই। তাই ভোটার তালিকায় যেই নাম তুলুক না কেন, নতুন লোক আসলেও যারা আমাদের দলের সাথে যুক্ত থাকবেন, তাদেরই চেষ্টা করবেন তালিকায় তুলতে। অকারণ এখন সবাই আমাদের দলের সাথে ভিড়ে গেছে, দুদিন পর খারাপ দেখা যাবে তখন আবার ২০১৯, ২০২১ সালের মতো অবস্থা না হয়! নিজেদের জায়গা নিজেদের ছেলেদের করতে হবে।" দলের কর্মীদের মধ্যে স্পষ্টভাবে এই বার্তা পৌঁছে দিতেই যে এদিনের এই বৈঠক ডাকা হয়েছে তাও তিনি জানিয়ে দেন। 


ইতিমধ্যেই এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। আর ভিডিও সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। যদিও, পরে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক জানান, "প্রতিদিন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের দেশে ঢুকছে। আমি দলের কর্মীদের বার্তা দিয়েছি যে, তাদের নাম যেন ভোটার তালিকা না থাকে।" কিন্তু এবারে একেই হাতিয়ার করে আসরে নামল পদ্ম শিবির। পাল্টা সুর চড়িয়েছে শাসক শিবিরও

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad