প্রতি বছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমায় পালিত হয় দেব দীপাবলি উৎসব। এ বছর এই উৎসব পালিত হচ্ছে সোমবার, ০৭ নভেম্বর। বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিনে দেবতারা দীপাবলি উদযাপন করতে কাশীর গঙ্গা ঘাটে অবতরণ করেন। এই দিনে পবিত্র নদীতে স্নান করা এবং প্রদীপ দান করার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে ছয় কৃত্তিকারও পূজা করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক দেব দীপাবলির উৎসবে প্রদীপ দান করার গুরুত্ব কী এবং কীভাবে এই দিনে কৃত্তিকাদের পূজা করা হয়।
দেব দীপাবলিতে দীপদানের গুরুত্ব
কার্তিক পূর্ণিমার দিনে পবিত্র নদীর জলে স্নান করা উচিৎ এবং একটি প্রদীপ দান করা উচিৎ। কিন্তু এই দীপদান করা হয় নদীর তীরে। কথিত আছে, দেব দীপাবলির দিনে প্রদীপ দান করলে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় এবং দেব-দেবীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। নীতির ঐতিহ্যের কারণে, এই দিনে বারাণসীতে গঙ্গার তীরে প্রদীপ দান করা হয়। বারাণসীতে এটিকে দেব দীপাবলি বলা হয়, তবে এটি শাস্ত্রীগত নয়।
দেব দীপাবলি কেন পালিত হয়?
ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এ ঘটনা ঘটে। ত্রিপুরাসুর বধের আনন্দে দেবতারা কাশীতে বহু প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। এই কারণেই প্রতি বছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে কাশীতে দীপাবলি পালিত হয়। যেহেতু এই দীপাবলি দেবতারা উদযাপন করেছিলেন, তাই এটিকে দেব দীপাবলি বলা হয়।
কৃত্তিকাদের পূজা
এই দিন রাতে ছয়টি কৃত্তিকা পূজা করা উচিৎ। এই পূজার মাধ্যমে শীঘ্রই সন্তানের বর পাওয়া যায়। এই ছয়টি কৃত্তিকা হল শিব, সম্ভূতি, সন্তাতি, প্রীতি, অনুসূয়া এবং ক্ষমা। তাদের পূজা করার পর গরু, ভেড়া, ঘোড়া, ঘি ইত্যাদি দান করা উচিৎ। সন্তান এবং সমৃদ্ধি পেতে কৃত্তিকার কাছে প্রার্থনা করা উচিৎ।
শিবের পূজার বিশেষ গুরুত্ব
ভগবান শিব এই দিনে ত্রিপুরাসুর বধ করেন। তাই এই দিনটিকে "ত্রিপুরী পূর্ণিমা"ও বলা হয়। শিবের বিশেষ আরাধনা করলে এই দিনে সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয়। এই দিনে উপবাস করে ভগবান শিবের আরাধনা করে এবং একটি ষাঁড় দান করলে শিব পদ লাভ হয়। শিব হলেন আদি গুরু, তাই এই দিনে রাত্রি জাগরণ করে শিবের আরাধনা করলে গুরুর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতেও এই দিনে শিবের পূজা করা হয়।
No comments:
Post a Comment