তীব্র ভর্ৎসনা! 'ভেঙে দেওয়া হোক স্কুল সার্ভিস কমিশন', মন্তব্য হাইকোর্টের বিচারপতির - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 17 November 2022

তীব্র ভর্ৎসনা! 'ভেঙে দেওয়া হোক স্কুল সার্ভিস কমিশন', মন্তব্য হাইকোর্টের বিচারপতির


রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলা নিষ্পত্তির পরিবর্তে যেন ক্রমশই জটিল হচ্ছে। অতিরিক্ত শূন্য পদ নিয়োগ মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট বলে, যদি বেআইনিভাবে করা শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করা না যায়, তাহলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (ডব্লিউবিএসএসসি) ভেঙে দেওয়া হোক। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আগের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য ডব্লিউবিএসএসসির আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই মন্তব্য করেন। যাতে অবিলম্বে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের চাকরি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।


কমিশন যুক্তি দিয়েছিল যে, প্রশ্নবিদ্ধ শিক্ষকরা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন এবং এখনও পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। বিচারপতি বসু কমিশনকে বলেন, বেআইনি নিয়োগ কোনও মূল্যে বরদাস্ত করা যাবে না। ১৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে এ বিষয়ে পুনরায় শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।


হাইকোর্ট বলছে, যারা নিয়োগে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেছেন, তারা শিক্ষক হতে পারবেন না। তাদের রাখলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বাংলার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাবে। এতে রাজ্যের শিক্ষারই ক্ষতি হবে না বরং শিক্ষার্থীদের জীবনের ক্ষতি হবে। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-এর মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বরখাস্তের আদেশের সংশোধন চেয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আদালতে ওই আবেদনের কথা উল্লেখ করেন অ্যাডভোকেট বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।


শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে প্রশ্নের জবাব দিতে তলব করেছে হাইকোর্ট; কমিশন কেন অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? বিচারপতি বিশ্বজিৎ বোস বলেন, পরিস্থিতি ভিন্ন, যখন স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, সেক্ষেত্রে কমিশন ভেঙে দেওয়া উচিৎ। রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করছে তার জবাব দিতে হবে আদালতকে।


উল্লেখ্য, ২৯ শে সেপ্টেম্বর বিচারপতি বসু, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং বলেছিলেন যে, আমি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হতে চাই। সামনের দিনগুলোতে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের যোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। কিন্তু বিচার ব্যবস্থা সমাজের আবর্জনা পরিষ্কার করতে বদ্ধপরিকর।


ওদিকে বুধবার, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো-এর সিট পুনর্গঠনের নির্দেশ দেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad