ড্রাগন ফ্রুটের খেলে যেসব উপকার পাবেন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 18 November 2022

ড্রাগন ফ্রুটের খেলে যেসব উপকার পাবেন


ড্রাগন ফ্রুট এর নাম আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন। এটি পাতায়া এবং কমলম নামেও পরিচিত। ড্রাগন ফলের নাম যেমন আকর্ষণীয়, এর উপকারিতাও তেমনই বিস্ময়কর। কিউই এবং নাশপাতির মতো স্বাদের এই ছোট ফলটি অনেক বিপজ্জনক রোগ নিরাময়ে কার্যকর। এতে ভিটামিন সি, ক্যারোটিন, প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ড্রাগন ফল হার্টসহ নানা রোগে উপকারী।


হার্টের জন্য উপকারী


ড্রাগন ফল হার্টের জন্য উপকারী। এতে ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা 6 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করতে কাজ করে। ড্রাগন ফলের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়, যা স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। 


কম কোলেস্টেরল


খারাপ কোলেস্টেরল বেশিরভাগ হার্টের সমস্যার কারণ। হার্টকে সুস্থ রাখতে হলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ড্রাগন ফলের পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা-৩, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ড্রাগন ফল খেলে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণও বেড়ে যায়। হৃদরোগীদের জন্য ড্রাগন ফল খাওয়া খুবই উপকারী।


হজম উন্নতি 


ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী। ড্রাগন ফ্রুটেও প্রচুর পরিমাণে জল থাকে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হয় না। ড্রাগন কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং পেটের ব্যথা হয় না। 


রক্তশূন্যতায় উপকারী


ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দূর হয়। রক্তশূন্যতায় ড্রাগন ফল খুবই উপকারী। রক্তশূন্যতা দূর করতে চাইলে ড্রাগন ফল খাওয়া শুরু করুন। 


হাড় শক্তিশালী করা 


ড্রাগন ফল হাড় ও দাঁত মজবুত করতে কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস পাওয়া যায়, যা হাড়কে মজবুত করে। 


অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি


ড্রাগন ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, যা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি বাড়ায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad