বাংলা থেকে উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলের বালু ব্যবসায়ীদের আধিপত্য। এখন তারা সকলেই ইডি সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে রয়েছে। সূত্র মতে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে এই কেলেঙ্কারি কয়লা চোরাচালানের মতোই বড় হতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বছরের পর বছর ধরে চলছে এই অবৈধ বালু উত্তোলন, আর তা আড়াল করতে হোটেলও চালাচ্ছেন এসব ব্যবসায়ী। এর পাশাপাশি অভিযুক্তরা তাদের মিথ্যা প্রভাব রাখতে একটি মাধ্যমেরও আশ্রয় নিচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত এমন চারজনের নাম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে এসেছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অবৈধ বালু পাচার চলছে। এর সিন্ডিকেটের মূল ভূমিকায় রয়েছে ৪ জন। তাদের মধ্যে একজন বীরভূমের বাসিন্দা, একজন দুর্গাপুরের এবং একজন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে সবাই কলকাতায় থাকেন। মধ্যরাত নামার সাথে সাথে নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু হয়। প্রতিদিন শত শত ট্রাক্টর রাতের আঁধার থেকে সকাল পর্যন্ত বালু পরিবহন শুরু করে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে নদীগুলোর ভৌগোলিক অবস্থাও নষ্ট হচ্ছে। এ জন্য কৌশল অবলম্বন করা হয় এবং ধরা পড়লে বলা হয় আগে থেকেই উত্তোলন করা হয়েছে। অবৈধ বালির মজুদ আশেপাশের নির্মাণ সংস্থাগুলি ছাড়া অন্যান্য রাজ্যেও পাঠানো হয়।
দামড়া এলাকায় দামোদর নদী পরিষ্কারের নামে বালু উত্তোলনে নিয়োজিত একটি কোম্পানিতেও এই ব্যক্তির অংশীদারিত্ব রয়েছে। পরিচ্ছন্নতার নামে নির্বিচারে বালু উত্তোলনের কাজ চলছে বলে অভিযোগ। ধানবাদ ও রাঁচিতেও হোটেল আছে। শুধু তাই নয়, অবৈধ বালু উত্তোলন ও কালো টাকা থেকে সুদের টাকা জনগণকে দিয়ে থাকে এসব ব্যবসায়িক অর্থদাতা। পেছন থেকে কাজ করার কারণে মানুষের কাছে তেমন তথ্য থাকে না।
উল্লেখ্য, কয়লা চোরাচালান, গরু চোরাচালান ও এসএসসি মামলার পর এখন বালু পাচারের তদন্তও শুরু হতে পারে। তদন্তকারী আধিকারিকরা বলেন, সমাজে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে এই ব্যবসায়ীরা মিডিয়াও চালাচ্ছেন, যাতে তারা ধরা এড়াতে পারেন, তবে এখন পর্যন্ত তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে যে কেউ যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, আইনের হাত অনেক লম্বা। ভুয়া মিডিয়াকে সামনে রেখে কেউই রেহাই পাবে না।
No comments:
Post a Comment