'ডেঙ্গু রোধে মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। আমার কাছে এত পুলিশ নেই যে আমি বাড়ি বাড়ি নজরদারি জন্য রাখব।' ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর উদ্যোগে আয়োজিত ডেঙ্গু সচেতনতা অভিযানের অনুষ্ঠানে এসে বললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন এই সচেতনতা প্রচারে ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যাদবপুরের বিধায়ক ও মেয়র পরিষদ জঞ্জাল বিভাগ দেবব্রত মজুমদার, কলকাতা পৌর সংস্থার চিফ হুইপ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত।
ফিরহাদ বলেন, 'ডেঙ্গু প্রতিরোধে মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ যারা এইভাবে দইয়ের ভাঁড় বা ডাব রাস্তায় ফেলছেন, তারা হচ্ছেন সমাজের গণশত্রু। তাদের ফেলা বর্জ্য পদার্থর কারণে জল জমে মানুষের ডেঙ্গু হতে পারে। তার জন্য পাড়ার লোক কে প্রতিবাদ করতে হবে। যে কোনও বাড়ি থেকে নোংরা ফেলা হচ্ছে। আমরা ফাঁকা মাঠে অভিযান করছি। কিন্তু সেখানে এই নোংরা আসছে কোথায় থেকে? পাল্টা প্রশ্ন করেন তিনি।
মেয়রের অভিযোগ, যারা দোষ দিচ্ছেন তাদের বাড়ির সামনে নোংরা ফেলছেন কারা; যারা আসে-পাশের বাড়িতে থাকেন তারা। ফিরহাদ বলেন, যারা পাড়ায় ময়লা ফেলে তারা গণশত্রু। এদের চিহ্নিত করুন। প্রকাশ্যে আনুন। পাড়ার লোককে প্রতিবাদ করতে হবে।'
ডেঙ্গি মোকাবিলায় পথে নেমে এদিন ফের কড়া বার্তা দেন মেয়র। মডেল ওয়ার্ড হিসেবে চিহ্নিত ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে পথে পথে ঘুরে সচেতনতা বার্তা দেন মেয়র সহ অন্যান্যরা। তাঁর কথায়, শহর কলকাতায় প্রতিদিন ডেঙ্গু অভিযান চালানো হচ্ছে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি একমাত্র ডেঙ্গু প্রতিরোধে সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে। পুলিশ দিয়ে যত্রতত্রের আবর্জনা ফেলা জমা জল না ফেলার মোকাবিলা করা যাবে না। জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে, সচেতন হতে হবে।
No comments:
Post a Comment