প্রেমিকাকে জোর করে ধর্মান্তরিত করেছে প্রেমিক। মেয়েটি প্রতিবাদ করলে তাকে চারতলার বারান্দা থেকে ফেলে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়। ঘটনার পর অভিযুক্তরা পরিবারসহ পালিয়ে যায়। নিহতের পরিবারের অভিযোগে খুন ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশের তিনটি দল অভিযান চালাচ্ছে।
19 বছর বয়সী নিধি গুপ্তা তার পরিবারের সাথে দুবাগ্গার দুদা কলোনিতে থাকতেন। হাইস্কুল পাস নিধি বিউটি পার্লারে কাজ শিখছিল। পাশের 40 নম্বর ব্লকে বসবাসকারী সুফিয়ানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে ওই তরুণীকে মোবাইল ফোন দিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে অভিযোগ জানাতে সুফিয়ানের বাড়িতে যান। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়।
এদিকে নিধি নিচ থেকে দৌড়ে চতুর্থ তলায় চলে গেল। সুফিয়ানও তার পিছু নিল। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, সুফিয়ান মেয়েটিকে বারান্দা থেকে ফেলে দেয়। তার পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনলে লোকজন স্তম্ভিত হয়ে যায়। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল মেয়েটি।
অচেতন অবস্থায় স্বজনরা তাকে ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যান। প্রতিবেশীরা কন্ট্রোল রুমে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ জানায়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটির মৃত্যু হয়। অপরদিকে ঘটনার পর সুফিয়ান ও তার পরিবার ঘর তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
নিধির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সুফিয়ান তাকে ধর্মান্তরিত করতে চেয়েছিল। তিনি মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তহবিলের ওপর প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে মেয়েটি পরিবারের সদস্যদেরও জানিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানায়, মেয়েটি প্রতিনিয়ত এর বিরোধিতা করে আসছিল। এমনকি মোবাইলে সুফিয়ান তাকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিতেন। ইন্সপেক্টর-ইন-চার্জ দুবাগ্গা সুখবীর সিং ভাদৌরিয়ার মতে, মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment