হিন্দু ধর্মে বিবাহিত মহিলারা পায়ের চুটকি পরেন। এটি তাদের ষোলো- শ্রীঙ্গারের একটি অংশ, পাশাপাশি সুহাগের একটি চিহ্ন। কিন্তু চুটকি পরার আরও অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
হিন্দু ধর্মে বিবাহিত মহিলাদের জন্য অনেক নিয়ম রয়েছে। এতে কিছু বিশেষ উপবাস-উৎসব, পূজা-পাঠ থেকে শুরু করে মঙ্গলসূত্র পরা, চাহিদা পূরণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল বিবাহিত মহিলাদের পায়ে চুটকি পরা। হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়েছে বিয়ের পর মহিলাদের পায়ের আঙুলে চুটকি পরতে হবে। কিন্তু চুটকি পরার পিছনে আরও অনেক কারণ রয়েছে।
মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য চুটকি খুবই গুরুত্বপূর্ণ
মহিলাদের চুটকি পরা শুধুমাত্র বিবাহের লক্ষণ নয়, এটি তাদের স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহিলারা এটি পরিধান করে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক উপকার পান এবং এটি রোগ প্রতিরোধ করে।
- সাধারণত, বুড়ো আঙুলের পাশের আঙুলে চুটকি পরা হয়। অনেক মহিলা একাধিক আঙুলেও পরেন। শরীরের অনেক স্নায়ু বুড়ো আঙুলের পাশের আঙুলের সাথে যুক্ত থাকে। এই আঙুলে চুটকি পরলে স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে। একভাবে একে আকুপ্রেসার থেরাপিও বলা যেতে পারে। এটি স্নায়ুতন্ত্র এবং পেশীকে শক্তিশালী করে।
- বুড়ো আঙুলের পরে আঙুলে পরা নীটল একটি বিশেষ শিরার উপর চাপ দেয়। এছাড়াও, এটি জরায়ুতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যার ফলে গর্ভধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
বিয়ের পর নারীদের শরীরে অনেক হরমোনের পরিবর্তন হয়। এ কারণে অনিয়মিত মাসিক চক্র বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। পায়ের আঙ্গুলে চুটকি পরলে হরমোনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে এবং পিরিয়ডও সময়মতো আসে।
- এটাও বলা হয় যে এটি পরলে নারীর তলদেশ থেকে নাভি পর্যন্ত সমস্ত শিরা সঠিকভাবে কাজ করে। পায়ের আঙুলের মতো মাছের আংটি পরলে শরীরের নিচের অংশে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে যা সামনের দিকে নির্দেশ করা হয় এবং পিছনে গোলাকার হয়। নারীরা এইভাবে চুটকি পরলে অনেক উপকার পান।
কিন্তু শুধুমাত্র রুপোর আংটি পরুন
চুটকি পরার পূর্ণ সুবিধা তখনই পাওয়া যায় যখন এগুলি রূপো দিয়ে পরা হয়। রূপার চুটকি পরলে শরীরে শীতলতা আসে এবং জরায়ুর রোগ প্রতিরোধ করে। রূপার চুটকি মহিলাদের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। শুধু তাই নয়, পায়ের পায়েলও সবসময় রূপার পরা উচিৎ । ধর্মীয় শাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে, সোনা ভগবান বিষ্ণু এবং বৃহস্পতির সাথে সম্পর্কিত। অতএব, কোমরের নীচে সোনা পরা উচিৎ নয়, তা না হলে দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণু এতে ক্রুদ্ধ হন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment