ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। এই জ্বর শিশুদেরও আক্রমণ করছে, যেহেতু শিশুরা বেশির ভাগ সময় বাইরে খেলাধুলায় কাটায় তাই ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম এবং উপর থেকে মশার আস্তানায় থাকার কারণে শিশুরা দ্রুত ডেঙ্গুর শিকার হয়। এই জ্বরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি থাকে না। ডেঙ্গু থেকে পুনরুদ্ধার করা খুব কঠিন কারণ ডেঙ্গুতে কম হওয়া প্লেটলেটের সংখ্যা সহজে বাড়ে না। একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে ডেঙ্গু দ্রুত পুনরুদ্ধার করা যায়।
পেঁপে পাতার রস
প্লেটলেট বাড়াতে পেঁপে পাতার রস খুবই উপকারী। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ডেঙ্গু ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়িয়ে ডেঙ্গুর প্রভাব কমায়। পেঁপে পাতা সিদ্ধ করে এর রস পান করলে ডেঙ্গুতে খুব উপকার পাওয়া যায়।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
ডেঙ্গুর কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই শরীরকে আবার সুস্থ করতে হলে প্রোটিন সমৃদ্ধ জিনিস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। স্যুপ, ডাল এবং বাদামের মতো প্রোটিন-সমৃদ্ধ আইটেমগুলি ডেঙ্গু থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য শিশুদের খাবারে উপকারী।
ফল থেকে পুনরুদ্ধার
ফল যেকোনো রোগ সারাতে পারে। ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠতে হলে শিশুদের ফল খাওয়াতে হবে। ফলের মতো জিনিস খেতে সহজ কারণ এগুলো স্বাদে ভালো। দ্রুত সুস্থতার জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন পেয়ারা, কমলা, মৌসুমি খেতে হবে।
তরল জিনিস অন্তর্ভুক্ত
তরল খাবার খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং শরীরে কোনো দুর্বলতা থাকে না। ডেঙ্গু হলে নারকেলের জল ও ফলের রস খেতে হবে। এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান শরীরকে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পর লস্যি ও বাটার মিল্ক জাতীয় জিনিস পান করা উপকারী।
গিলয় রস
ডেঙ্গুতেও গিলোয়ের রস উপকারী বলে মনে করা হয়। গিলোয় উপস্থিত ঔষধিগুণ ডেঙ্গুকে পরাস্ত করতে সাহায্য করে। গিলয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর। ডেঙ্গু হলে এর রস বা ক্বাথ খেতে হবে এবং দিতে হবে।
ছাগলের দুধ
ছাগলের দুধ প্লাটিলেট বাড়াতে কার্যকর। এটি প্লেটলেট বৃদ্ধি করে ডেঙ্গু থেকে পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করে। ডেঙ্গু সেরে গেলেও ছাগলের দুধ পান করলে উপকার পাওয়া যায়। এটি শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।
No comments:
Post a Comment