হার্ট আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যদি দীর্ঘ সময় ধরে জীবন টিকিয়ে রাখতে হয় তবে সঠিকভাবে এবং ধারাবাহিকভাবে কাজ করা প্রয়োজন। সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাবার, অগোছালো জীবনযাপন, স্থূলতা, উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের কারণে একজন ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হয়। যার কারণে তার জীবনও নষ্ট হতে পারে। কিন্তু অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন জাগে যে একজন মানুষের সারা জীবনে কতবার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। আমাদের আপনার প্রশ্নের উত্তর দিন.
হার্ট অ্যাটাক কেন আসে?
যখন আমাদের ধমনীতে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়, তখন এটি প্লেক তৈরি করতে শুরু করে, যা রক্তনালীতে বাধা সৃষ্টি করে এবং তারপরে হৃৎপিণ্ডের দিকে রক্তের প্রবাহকে ধীর করে দেয়। এমন অবস্থায় হার্টে রক্ত পৌঁছতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়, যার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং তখন হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
-শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
- প্রচুর ঘাম হওয়া
- বুকে ব্যথা
- মাথা ঘোরা
-অস্থির বোধ করা
- মাথা ঘুরানো
-চোয়াল বা দাঁতে ব্যথা -
বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া -
গ্যাস তৈরি হওয়া
সারা জীবনে কতবার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে?
বেশিরভাগ কার্ডিওলজিস্ট বিশ্বাস করেন যে একজন ব্যক্তির জীবনে সাধারণত 3 বারের বেশি হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি কম বা বেশি হতে পারে। সাধারণত, 40 থেকে 45 বছর বয়সী লোকেরা এই রোগের ঝুঁকিতে থাকে, তবে এই রোগটি যে কোনও এক গোষ্ঠীর লোকে হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
আপনি যদি হার্ট অ্যাটাক এড়াতে চান তবে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার খান, পাশাপাশি লবণ, চিনি এবং তৈলাক্ত খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
সিগারেট ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান আমাদের হার্টের জন্য বিপজ্জনক, কারণ এটি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে যা হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী।
ওজন বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়, তাই যতটা সম্ভব ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন।
হার্টকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ প্রয়োজন, তাই যখনই সুযোগ পান ওয়ার্কআউট করুন।
No comments:
Post a Comment