শীত মৌসুম এলেই ত্বকের সমস্যাও শুরু হয়। ঠোঁট ফাটাও আজকাল একটা বড় সমস্যা। প্রথমত, শীতের প্রকোপ বৃষ্টিতে ঠোঁটে শুকিয়ে ফেটে যায়। ফাটা ঠোঁট শুধু মুখকে অকেজো করে তোলে না, শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁটও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঠোঁট ফাটার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ঠোঁট ফাটার কারণ জানা থাকলে এই সমস্যা এড়ানো যায়। ঠোঁট ফাটা রোধ করতে আমরা কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও চেষ্টা করতে পারি। আপনি যদি ঠোঁট নরম রাখতে চান, তাহলে ঠোঁট ফাটার কারণ এবং কীভাবে নিরাময় করা যায় তা জানা জরুরি।
ঠোঁট ফাটার কারণ
শীতকালে শুষ্ক বাতাস ঠোঁট ফাটার কারণ।
অতিরিক্ত সূর্যালোকও ঠোঁট ফাটার কারণ হতে পারে। এই ধরনের বাতাস এড়ানো উচিত।
শরীরে জলের অভাবেও ঠোঁট ফাটতে পারে। যেহেতু শীতকালে আমরা কম জল পান করি তাই আমাদের ঠোঁট ফাটার প্রবণতা থাকে।
শীতকালে লিপস্টিকের মতো শক্ত পণ্য থাকার কারণেও ঠোঁট ফাটে। শীতকালে এ ধরনের জিনিস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ঠোঁট ময়েশ্চারাইজড না হলে দ্রুত ফাটল। তাই ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার বা লিপবাম লাগাতে থাকুন।
ঠোঁট নরম রাখার ঘরোয়া উপায়
অনেক রাসায়নিকযুক্ত পণ্য ব্যবহার করলে ঠোঁট ফাটতে পারে। এই জিনিসগুলো ঠোঁটে লাগালে সেগুলোও কালো হয়ে যেতে পারে। ঘরে রাখা কিছু জিনিস ব্যবহার করে আমরা ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে পারি এবং ফাটা ঠোঁটকে নরম করতে পারি।
বাদাম তেল
বাদাম তেলে উপস্থিত গুণাবলী ঠোঁট ও ত্বককে কোমল করতে কাজ করে। রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে বাদামের তেল লাগিয়ে পাঁচ মিনিট ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। এভাবে ঠোঁটের ত্বক হয়ে উঠবে কোমল। বাদাম তেল ব্যবহারেও ঠোঁট গোলাপি হবে।
ক্রিম
ক্রিম লাগালে ঠোঁট ক্রিমের মত নরম হয়ে যাবে। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ঠোঁটে ক্রিম লাগান, এতে ঠোঁটের ফাটা সমস্যা দূর হবে এবং ঠোঁট নরম হয়ে যাবে। সুগন্ধের জন্য ক্রিমের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদ এবং দুধ
দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঠোঁটে লাগান। প্রতিদিন রাতে একইভাবে ঠোঁটে হলুদ ব্যবহার করলে ফাটা ঠোঁটের ক্ষতও পূরণ হবে।
নারকেল তেল
ফাটা ঠোঁট সারাতে নারকেল তেল ব্যবহার করা হয়। দিনে ২-৩ বার লিপবাম হিসেবে নারকেল তেল লাগান। এভাবে ঠোঁটের ত্বক নরম হবে এবং ব্যথাও উপশম হবে।
No comments:
Post a Comment