মাইগ্রেনের ব্যথা খুবই তীব্র। যার মাইগ্রেন আছে তিনিই বুঝতে পারেন ব্যথার তীব্রতা। এতে প্রচণ্ড মাথাব্যথার পাশাপাশি বমি বমি ভাব ও বমিও শুরু হয়। মাইগ্রেনের ব্যথা কয়েকদিন স্থায়ী হয়। এ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। মাইগ্রেনের কারণে আমাদের জীবন ব্যাহত হয়। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের দৈনন্দিন কাজ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। সাধারণত মনে করা হয় যে শুধু মাথায় ব্যথা হলেই মাইগ্রেন হয়, তবে মাইগ্রেন এর চেয়ে অনেক বেশি। মাথা ছাড়াও এমন কিছু পয়েন্ট আছে যেখানে মাইগ্রেনের ব্যথা হয়।
মাইগ্রেনের ব্যথা
মাথায় মাইগ্রেনের ব্যথা হয়। মাইগ্রেনের ব্যথা স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধির কারণে হয়। সাধারণত মনে করা হয় যে মাথার একপাশে যে ব্যথা হয় তা মাইগ্রেন। মাইগ্রেনের ব্যথা খুবই তীব্র। মাথার অর্ধেক অংশে ব্যথার কারণে মাইগ্রেনকে মাইগ্রেনও বলা হয়।
কোথায় মাইগ্রেন হয়
অর্ধেক মাথা ছাড়াও চোখের পেছনে যদি ব্যথা হয়, তাহলে তা মাইগ্রেন হতে পারে। চোখের পিছনে ব্যথা শুরুতে সাধারণ, তারপরে এটি ধীরে ধীরে বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে মাইগ্রেনের ব্যথায় আমাদের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মাথার অর্ধেক এবং সামনের মাথা ছাড়াও মাথার পিছনের অংশে উদ্ভূত ব্যথাও মাইগ্রেন হতে পারে। পিঠের ব্যথা ভয়ানক, কিন্তু কখনও কখনও আমরা এই ধরনের মাইগ্রেনকে গ্যাস বলে ভুল বুঝি এবং গ্যাসের চিকিৎসা শুরু করি। তবে এটি মাইগ্রেন হতে পারে।
মাইগ্রেনের ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করলে তা শুধু মাথাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না, তা ছড়িয়ে পড়ে। চোখ এবং পুরো মাথা ছাড়াও এটি ঘাড় এবং কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছায়। মাথার পাশাপাশি এসব জায়গায় ব্যথা হলে তা শরীরের ব্যথা নয়, মাইগ্রেন।
No comments:
Post a Comment