প্রথম পিরিয়ডের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা প্রকাশ জয়ার - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 12 November 2022

প্রথম পিরিয়ডের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা প্রকাশ জয়ার


অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নভ্যা নাভেলি নন্দা একটি শোয়ের মাধ্যমে পডকাস্টে আত্মপ্রকাশ করেছেন। অনুষ্ঠানটির নাম 'হোয়াট দ্য হেল নভ্যা', এই নিয়ে নভ্যা আজকাল বেশ শিরোনামে। এই শোতে নভ্যা তার দিদা জয়া বচ্চন এবং তার মা শ্বেতা বচ্চনকে তাদের জীবন সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। এই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ক্লিপ বেশ ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে তাকে তাঁর মা ও দিদাকে পিরিয়ডের প্রথম অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে দেখা যায়।


নভ্যার মা শ্বেতা বচ্চন তার প্রথম পিরিয়ডের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেছেন, 'যখন আমার প্রথম পিরিয়ড হয়, আমি বিছানায় শুয়ে চকোলেট এবং প্রচুর কার্বোহাইড্রেট খেতাম। আমি তখন একা থাকতে পছন্দ করতাম। অপরদিকে, জয়া বচ্চন যখন পিরিয়ডের প্রথম অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন, তখন পরিবেশটা একটু অন্যরকম ছিল। 



জয়া বলেন, 'ছবির শুটিং চলাকালীন প্রথম পিরিয়ড হয়। তখন আজকের মতো ভ্যানিটি ভ্যান ছিল না। শুটিং হতো একেবারে খোলামেলা। তখন পিরিয়ডের সময় আমরা স্যানিটারি প্যাড নয়, কাপড় ব্যবহার করতাম।' যখনই কাপড় বদলাতে হতো, ঝোপের আড়ালে গিয়ে পাল্টাতে হতো। সবচেয়ে বিব্রতকর ছিল যখন আপনি ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড ডাস্টবিনে বা ঝুড়িতে রাখতে পারতেন না। আপনাকে বাড়ি থেকে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ নিতে হবে এবং এতে ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড রাখতে হবে এবং বাড়িতে যাওয়ার সময় এটি ফেলে দিতে হবে।'  



জয়া আরও বলেন, 'শুটিংয়ের সময় যদি আপনার কাছে ৪-৫টি স্যানিটারি তোয়ালে থাকে, তাহলে আপনি বসে থাকার কথা কল্পনাও করতে পারবেন না।'


পিরিয়ড নিয়ে নভ্যা তার দিদা ও মায়ের সাথে যে বিষয়গুলো বলেছে, নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এর একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। শেয়ার করার সময় লিখেছেন – 'পিরিয়ড এবং প্রসবের বিষয়ে সবচেয়ে কম কথা বলা হয়। শুধু তাই নয়, আমরা উচ্চস্বরে 'পিরিয়ড' শব্দটি বলতেও পারি না। নভ্যা জিজ্ঞেস করেন, মা আর দিদা, ওই সময় তোমাদের কাউকে বলতে হবে যে তোমার পিরিয়ড হয়েছে, তাহলে তুমি কী ব্যবহার করেছিলে?'


নভ্যা আরও বলেন, "মা তোমার সময়ে 'পি' এবং 'চুমস' শব্দ ব্যবহার করা হতো। আজকের সময়ে একটা জিনিস ভালো যে, এখন আপনি মানুষকে বলতে পারেন যে, আপনার পিরিয়ড চলছে। আমাদের সমাজে পিরিয়ড নিয়ে কথা বলা খুবই জরুরি। কারণ অনেক মেয়েই আছে যাদের পিরিয়ড হয় না। নিজেদের মধ্যে কথা বলে তারাও এসব বিষয়ে সচেতন হয়।


'ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট' দিব্যা রতন বলেন, 'এ বিষয়ে আমাদের খোলামেলা কথা বলা দরকার। বিশেষ করে যখন সমাজের একটা বড় অংশ পিরিয়ড নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছে। যে মেয়েরা নিয়মিত পিরিয়ড হচ্ছে, মানে তারা সুস্থ, যাদের হচ্ছে না, তাদের জন্য কষ্টের ব্যাপার।' 


দিব্যা রতন আরও বলেন, 'ছেলে হোক বা মেয়ে, পিরিয়ড সম্পর্কে শিক্ষিত হওয়া দরকার। ভারতীয় সমাজে যৌনতা এবং পিরিয়ড সংক্রান্ত একটি কলঙ্ক রয়েছে। এই সব দূর করতে, ছেলে হোক বা মেয়ে, আমাদের দুজনকেই স্কুলে এই শিক্ষা দেওয়া উচিৎ।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad