শ্রদ্ধা ওয়াকার খুন মামলায় দিল্লী পুলিশ ক্রমাগত প্রমাণ সংগ্রহে ব্যস্ত। এদিকে ১৮ অক্টোবর অভিযুক্ত আফতাবের সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। এতে আফতাবকে একটি ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে আফতাব শ্রদ্ধার বিকৃত দেহের অবশিষ্ট টুকরো ফেলে দিতে গিয়েছিল বলে সন্দেহ পুলিশের। এই ঘটনায় শনিবার গুরুগ্রামে পৌঁছেছে পুলিশ। এখানে পুলিশ মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তদন্ত করে। তবে এ সময় পুলিশের হাতে কিছু লাগেনি। এ ছাড়া আজ আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে শ্রদ্ধার পোশাকসহ সব কাপড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এছাড়া দিল্লী পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ফ্ল্যাট থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শ্রদ্ধা খুন মামলায় পুলিশ এই ক্লুকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অনুসরণ করছে। পুলিশের সন্দেহ, এই অস্ত্র দিয়েই আফতাব শ্রদ্ধাকে খুনের পর তার দেহ বিকৃত করেছে। দিল্লী পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে আফতাব পুনাওয়ালা কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের পরে সত্য প্রকাশ করতে শুরু করেছেন এবং নিজেই পুলিশকে ছতারপুরে তার ফ্ল্যাট থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ উদ্ধার করতে সহায়তা করেছেন। শনিবার আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ফরেনসিক টিমের দাবী, খুনের দিন আফতাবের পরনে রক্তের দাগ এখনও থাকতে পারে। যদিও সেসব কাপড় এখনো উদ্ধার হয়নি। এ কারণে আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে সব পোশাক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আফতাব পুলিশকে জানিয়েছে যে সে শ্রদ্ধার রক্তমাখা জামাকাপড় একটি সিভিক গারবেজ ভ্যানে ফেলে দেয়। শ্রদ্ধার জামাকাপড় খুঁজে পেতে, পুলিশ বর্জ্য বাছাইকারীদের নাগরিক নেটওয়ার্কের সন্ধান শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এই দম্পতি যেখানে থাকেন সেই আশেপাশে বর্জ্য ফেলার জন্য দুটি ডাম্পিং স্পট চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শ্রদ্ধার মোবাইল ফোনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ বলছে, জঙ্গলে পাওয়া দেহের অঙ্গ শ্রদ্ধার কিনা তা নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে ১৫ দিন সময় লাগবে। পুলিশ নিরাপত্তা ফুটেজও পরীক্ষা করছে এবং ডেটিং অ্যাপ বাম্বল থেকে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে, যেখানে আফতাব এবং শ্রদ্ধার তিন বছর আগে দেখা হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment