'যারা সরকারি কর্মচারী, তাদের মাইনে যথেষ্ট। অন্যদিকে গরীব মানুষের জন্য অনেকগুলি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যেগুলো চালাতে গিয়েই ডিএ দিতে আর্থিক টানাটানির মধ্যে পড়েছে রাজ্য সরকার', এমনই দাবী করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি আশ্বস্ত করেন, ডিএ অবশ্যই দেবে।
শনিবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'আর্থিক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাই সেগুলো বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। যারা সরকারি কর্মচারী তাদের মাইনে যথেষ্ট।'
তিনি বলেন, 'রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের মধ্যে কত লক্ষ সরকারি কর্মচারী আছেন, সবাই তো আর সরকারি কর্মচারী নয়। অনেকেই আছেন দিন আনেন, দিন খান। স্বাভাবিক ভাবেই এই পার্থক্যটা রয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে ওই গরীব মানুষগুলোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ করছেন বলেই, অর্থে টান পড়ছে।'
মন্ত্রীর সংযোজন, 'নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যপাধ্যায়কেও বলতে হয়েছিল যে, গরীবের হাতে পয়সা না দিলে একটা দেশের অর্থনীতি সচল হয় না। সেদিক থেকে করোনার সময় সবথেকে সফল মুখ্যমন্ত্রী যারা, তাঁদের মধ্যে একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তারগেট ছিল যারা সপ্তাহে একদিন মাছ খেতে পারেন, মাসের সব দিন ভাত খেতে পারেন, তাঁদের থেকেও আগে যে মানুষগুলো একেবারে নিঃস্ব, তাঁদের আর্থিক দিক থেকে কিছুটা স্বচ্ছল ও সবল করে দেওয়া। এর উদ্দেশ্য- একদিক থেকে তাদের সম্মান-মর্যাদা বাড়িয়ে দেওয়া ও অন্যদিকে অর্থনীতি সচল রাখা। এটাকেই টার্গেট করে তিনি এগোচ্ছেন, ডিএ দেবেন না একথা বলেননি।'
তিনি বলেন, 'আমাদের আটকে রাখতে হচ্ছে, কারণ যে সমস্ত প্রকল্পগুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চলছেন, আর্থিক ভাবে সেগুলোর জন্য সাহায্য করছেন, সেজন্যই সামান্য একটু অসুবিধা হতে পারে, কিন্তু ডিএ দেবেন না একথা ঠিক নয়, নিশ্চয়ই ডিএ দেবেন।'
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া সর্বশেষ হলফনামায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে, এই মুহূর্তে সরকারি কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দিতে গেলে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অন্যভাবে বলতে গেলে, ডিএ দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা যে এখন রাজ্য সরকারের হাতে নেই, হলফনামাতে সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
No comments:
Post a Comment