পুলিশের ট্রাকে আত্মঘাতী বোমা হামলা। ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু এবং আহত হয়েছেন অনেকেই। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, বুধবার পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কোয়েটায় এই আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। শহরে পুলিশের দলকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও, ২৮ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে পুলিশ কর্মীরাও রয়েছেন।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসী সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান। সংস্থাটি সম্প্রতি পাকিস্তান সরকারের সাথে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ, একজন নারী ও একজন শিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে।
কোয়েটার ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল গোলাম আজফার মহেসার জানিয়েছেন, পুলিশের ট্রাককে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণটি করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এটি আত্মঘাতী হামলা। ঘটনাস্থল থেকে আত্মঘাতী হামলাকারীর দেহাবশেষও পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের ফলে পুলিশের ট্রাকটি উল্টে খাদে পড়ে যায়।
ডিআইজি বলেন, পুলিশ কর্মীরা ডিউটিতে যাচ্ছিলেন, একটি রিকশা পুলিশের ট্রাকে ধাক্কা মারে। বিস্ফোরণে ২০ থেকে ২৫ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল, অ্যাম্বুলেন্স। ঘটনাস্থলে বোমা স্কোয়াডকেও ডাকা হয়েছে।
বেসরকারী টিভি চ্যানেল এক্সপ্রেস নিউজ অনুসারে, পুলিশ বলছে যে, কোয়েটার কুচলাক বাইপাসে পুলিশ ট্রাকের কাছে একটি বিস্ফোরণ হয়েছে, এতে ৩ জন নিহত এবং পুলিশ কর্মী সহ ২৮ জন আহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি গাড়িও ধাক্কা লেগে গাড়িতে থাকা এক মহিলাও আহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, আহতদের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। আত্মঘাতী হামলার পর এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, যে পুলিশ টিমের গাড়িতে হামলা করা হয়েছিল সেই দলটি পোলিও টিকাদানকারী দলকে রক্ষায় নিয়োজিত ছিল। পাকিস্তানে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ক্রমাগত পোলিও টিকাদান কর্মসূচিকে নিশানা করছে। তারা বিশ্বাস করে যে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তি করা হয়। যে এলাকায় হামলা হয়েছে, সেখান থেকে আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্ত কাছাকাছি। এই এলাকায় বেশির ভাগ সন্ত্রাসী সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। এর আগেও পোলিও টিকাদানকারী দলকে টার্গেট করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment