বছর ঘুরতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট, আর তার আগেই একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করা হয়েছে। এলাকায় জনসংখ্যার তুলনায় জব কার্ডধারীর সংখ্যা বেশি বলে অভিযোগ রয়েছে। মামলায় সিএজি-র কাছে অডিটের দাবীর পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের দাবী উঠেছে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এর আগেও ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বহুবার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছেন। এবারে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হল। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির আদালতে উত্থাপন করা যেতে পারে।
এদিকে, ১০০ দিনের কাজে বিজেপি যতই দুর্নীতির অভিযোগ করুক না কেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর তা মানতে নারাজ। সব নিয়ম মানা হয়েছে বলে তারা বারবার দাবী করেছেন। কোথাও দুর্নীতির প্রশ্ন নেই। তারপরও বকেয়া টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার ১০০ দিনের বকেয়া না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
কয়েকদিন আগে মেদিনীপুরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "পশ্চিমবঙ্গ সরকার অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেই কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের বকেয়া পরিশোধ করবে।" তিনি বলেন, “এই কাজে অন্যান্য রাজ্যে যা সুবিধা দেওয়া হবে, বাংলায় তার ব্যতিক্রম হবে না। যদিও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন যে, বকেয়া পেতে বাংলা সরকারকে অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়া দরকার।"
এর আগে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ১০০ দিনের মুলতুবি কাজের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সাথে দেখা করেছিলেন। সেই সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও গিরিরাজের কাছে ১০০ দিন কাজে দুর্নীতির অভিযোগে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, “এত বড় প্রকল্প, কিছু ভুল হতে বাধ্য। তবে বিরোধী দলনেতা এখন 'কিছু ভুল' সামনে এনে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।"
No comments:
Post a Comment