ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে অবৈধভাবে অপসারণ করা হয়েছে- এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অ্যাডভোকেট রামপ্রসাদ সরকার। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করা হয়। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে বিদায় নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন।
বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে সৌরভের মেয়াদ এ বছরই শেষ হচ্ছে। এরপর তাকে আর সুযোগ দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, একজন আধিকারিক রাষ্ট্রীয় সংস্থায় ছয় বছর এবং বোর্ডে ছয় বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সেই হিসেব অনুযায়ী, বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকতে সৌরভের আরও তিন বছর বাকি ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পুত্র জয় শাহ সচিব রয়ে গেলেও সৌরভকে রাখা হয়নি বলে অভিযোগ।
আইনজীবী রামপ্রসাদ বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে সৌরভকে অপসারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুক্রবার মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, “বিসিসিআই সভাপতি ও সচিব নিয়োগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি সিদ্ধান্ত রয়েছে। সৌরভকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে তা সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ আবার বোর্ডে থাকতে পারলে, সৌরভ কেন নয়? তাকে কি রাজনৈতিক কারণে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে? প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
বিসিসিআই ছাড়ার পর, সৌরভ বলেছিলেন তিনি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয়নি। সৌরভ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তাঁর দাদা স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি হয়েছেন।
No comments:
Post a Comment