নিজের নির্বাচনী এলাকা দমদমে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, 'সেইসব লোকেদের যাওয়ার সময় এসেছে, যারা আর্থিক লাভের জন্য দলে যোগ দিয়েছে।'
দলের ৯৫ শতাংশ পদাধিকারী স্বচ্ছভাবে কাজ করে বলে দাবী করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'নেতৃত্ব চায় না কিছু অসাধু লোকের দ্বারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক।' তিনি বলেন, 'দলের ভিতরে স্ক্রিনিং করার সময় এসেছে।' উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগেই বিরোধী দলগুলি দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক দলকে ঘিরে ধরেছে।
সৌগত রায়ের পাশাপাশি, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন, দলীয় প্রার্থীদের প্রতি সহিংসতায় লিপ্ত হয়ে জেতার কথা না ভাবতে আবেদন করেছেন। কামারহাটিতে আরেকটি সভায় তিনি বলেন, “কাউকে হারিয়ে জয়ের কথা ভাবা ঠিক হবে না।"
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা পাচার, গরু পাচার কাণ্ডের পর এবারে লটারি কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে সরগরম বাংলার রাজনীতি। আর এই মামলায়ও অ্যাকশন মোডে সিবিআই। বীরভূমের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল কী সত্যিই লটারি জিতেছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কয়েকদিন আগে বোলপুরে একটি লটারি টিকিটের দোকানে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এজেন্সিগুলির কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন তারা।
এই সব দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্যের শাসক দলকে একের পর এক বাক্যবাণে বিঁধছেন বিরোধীরা, ঠিক সেই সময় তৃণমূলের এই দুই নেতা দুর্নীতিবাজ নেতাদের দল থেকে বিদায় প্রসঙ্গে কথা বলছেন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের ভাবমূর্তি পরিষ্কার রাখতে চায় শাসক শিবির, তাই হয়তো এই সুর শোনা যাচ্ছে দলের সাংসদ-বিধায়কদের গলায়, একথাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
No comments:
Post a Comment