কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তা নিয়ে মেজাজ হারালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মন্তব্যে মেয়র বলেন, " দুর্ভাগ্য হল যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী যখন এখানে আসেন তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে আসেন না। তারা বিজেপি নেতা হয়ে আসেন। তাই বিজেপির নেতা বাজার গরম করেন। আমরা কেন পরিসংখ্যান লুকাতে যাব। সারা দেশের ডেঙ্গু হচ্ছে তাহলে কি নরেন্দ্র মোদীর ব্যর্থতা। উনি তো বাজনা বাজিয়ে করোনা তাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাহলে কি করোনা চলে গিয়েছে। আমরা তো উত্তর প্রদেশের মত আমরা করেনি, তারা তো মৃতদেহ ভাসিয়ে দিয়েছিল। ডেঙ্গু হলে কি একা আমদের দোষ।"
তিনি বলেন, " চুরি করেছি না ডাকাতি করেছি। লোকাবো কেন। অত্যন্ত দুখ একটা বাচ্চা মারা গেছে। আমি বলব ডেঙ্গু হলেই প্লেটলেট পরীক্ষা করান। ডেঙ্গু কোনও দিন কমছে অবার কোনও দিন বাড়ছে। যেদিন টেস্ট হচ্ছে তখন ডেঙ্গু বাড়ছে। মানুষ যে আমি বলতে পারবো না যে ডেঙ্গু টেস্ট না করলে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেব।"
জ্বর হলেই ডেঙ্গু টেস্ট করুন আবেদন জানালেন মেয়র। তিনি বলেন, "ফাঁকা মাঠে আবর্জনা ফেলে দেওয়া হয়েছে। জমি মালিক কে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কারা ফেলছে সেটা আমরা জানতে পারছি না। পাড়ার লোক তার প্রতিবাদ করে সচেতনতা করার প্রয়োজন আছে। সবাই যেখানে সরকার থেকে পাতুলি টে জমি পেয়েছেন তারা ফেলে রেখে দিয়েছেন। তারা আসছেন জমি বিক্রি করার জন্য। সেই কেএমডিএ, পিডাব্লিউডি, হাউজিং জমি আছে যেটা ফেলে রেখে দিয়েছে। সেজায়গায় থেকে মশা হচ্ছে। কেয়াদা পঞ্চায়েত এলাকায় আরবান হয়ে যাচ্ছে। ফলে সেখানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আর্বানিসেশন একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "ঢালাই বাড়ির হয়ে যাওয়ার ফলে মশা বাড়ছে। ভবিষ্যত যদি আমরা প্ল্যান করি তাহলে জায়গায় গুলিকে পরিষ্কার রাখা যাবে। ১০৮ ,১০৯ ওয়ার্ডে বেশ কিছু অঞ্চলে এই সমস্যা হচ্ছে। কলকাতায় আমরা সমস্ত ই সার্ভিস হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা ই সার্ভিসের মাধ্যমে কাজের পরিধি বাড়ানোর জন্য এই সমস্ত বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান মেয়র। ৮০% ফাঁকা মাঠে নোংরা পড়ছে। দয়া করে আবর্জনা যত্রতত্র বা পাশে মাঠে ফেলবেন না।"
No comments:
Post a Comment