শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাপস মণ্ডলকে আবারও তলব ইডির। ইডি-র সামনে তাপস মণ্ডল বলেন, "মানিক ভট্টাচার্য অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য লোক পাঠিয়ে টাকা নিতেন।" এই অফলাইন রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত অর্থনৈতিক লেনদেনের হিসাব দিতে বুধবার ইডি-র অফিসে পৌঁছান তাপস।
মানিক ভট্টাচার্য অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য লোকদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। মানিকের 'ঘনিষ্ঠ সহযোগী' হিসেবে পরিচিত তাপস মণ্ডল এ তথ্য জানিয়েছেন। এই অফলাইন রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত অর্থনৈতিক লেনদেনের হিসাব দিতে বুধবার তাপসকে ইডি-র অফিসে তলব করা হয়েছিল। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন। মানিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সিল করে দিয়েছে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, 2018 থেকে 2022 পর্যন্ত তিনটি শিক্ষাবর্ষে TET পরীক্ষার জন্য DLED প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক ছাত্রদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়া হয়েছে। মূলত, ডিএলইডি প্রশিক্ষণের 600টি কলেজে অফলাইনে ভর্তির জন্য অর্থ নেওয়া হয়েছিল। ইডি বলেছে যে মানিক সেই ছাত্রদের নাম অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করতেন যারা প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক এবং অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত তারিখে নথিভুক্ত করতে পারেনি। বিনিময়ে জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এই ভাবে প্রায় 20 কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে মনে করছে ইডি।
তাপস, যিনি মানিকের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়, বুধবারও বলেন যে অফলাইন নিবন্ধনের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছিল। মহিষবাথানে তাপসের একটি অফিসে ওই লেনদেন হয়েছিল। তবে রুবির টাকা কোথায় গেল তা জানেন না তাপস। 15 অক্টোবর তাপসের উল্লেখ করা মহিষবাথান অফিসে ইডি অভিযান চালায়। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ওই অফিস থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করেছে। চতুর্থবারের মতো ইডি অফিসে হাজির হলেন তাপস মণ্ডল।
No comments:
Post a Comment