রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোর্চা খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিজেপির শক্ত ঘাঁটি রানাঘাটে অনুষ্ঠিত এক সভায় তাতলা-১ পঞ্চায়েতের ধনিচা গ্রাম প্রধানকে তার পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, 'আমি জানতে চাই শেষ কবে গ্রামে গিয়েছিলেন? প্রধান চার বছর গ্রামে যাননি? আপনি কেন পদে আছেন? পঞ্চায়েত প্রধান পার্থ প্রতিম দে সোমবার সকালের মধ্যে আমার কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠাবেন। নতুন পঞ্চায়েত প্রধান করা হবে।'
উল্লেখ্য, এর আগে কাঁথিতে জনসভা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভার আগে তিনি গ্রামে গিয়েছিলেন। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছিলেন যে, তাদের বাড়ি ভাঙা অথচ পঞ্চায়েত থেকে কোনও সাহায্য দেওয়া হয়নি। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মারিশদার পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, রানাঘাটে বিজেপির আবর্জনা সরাতে হবে। বিজেপিকে সরাতে হবে। তিনি বলেন, 'ব্যক্তিগত স্বার্থে দলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করলে দরজা খোলা রয়েছে। তারা দল ছেড়ে চলে যান। ২০১১, ২০১৪ সালে নদিয়া থেকে জিতেছিল তৃণমূল। কি হল যে রানাঘাট মুখ ফিরিয়ে নিল? বিজেপিকে সাইবেরিয়ান পাখি হিসেবে বর্ণনা করে অভিষেক বলেন, যখন নির্বাচন আসে, তারাও আসে এবং নির্বাচন শেষ হলে চলে যায়। তিনি বলেন, “এখন আমি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আপনারা আমাকে ডাকলেই আমি আপনাদের সাথে দেখা করব। আমার ভুল হলে ক্ষমা করবেন। অভিবাসীদের জায়গা দেবেন না। ভোট নিতে আমি আসিনি। রাজনৈতিক সভা করতে এসেছি।'
অভিষেক বলেন, “আপনি কি এই পঞ্চায়েত নিয়ে খুশি? আমাকে বলুন, মঞ্চে বসা মানুষের দিকে তাকাবেন না। অবাধ ভোট হবে, কেউ গুন্ডামির কথা ভাবলেও ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে দল থেকে সরিয়ে দেব। তৃণমূল যদি সিপিএম থাকতে পঞ্চায়েত জিততে পারে, তাহলে আমরা যখন শাসক দলে ছিলাম তখন পঞ্চায়েত মুখ ফিরিয়ে নিল কেন? আমাদের একটি সুযোগ দিন, আমাকে বলুন আপনারা কাকে মনোনয়ন দিতে চান। সরাসরি কল করুন এই নম্বরে 7887778877।"
তিনি আরও বলেন, "২৮ মে হলদিয়া গিয়েছিলাম। সেখানে চুক্তি বা পার্টি করার কথা হয়। এটি শুধুমাত্র হলদিয়ার জন্য নয়, এটি সমগ্র রাজ্যের জন্য। পঞ্চায়েতগুলিতে যে প্রার্থীরা থাকবেন, তারা হয় চুক্তি নেবেন বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রতি ছয় মাসে কলকাতা থেকে আসা নিয়োগকারীদের জায়গা দেওয়া এবং যোগ্য লোকদের জায়গা না দেওয়া কোনও কাজ হবে না। জনগণের পঞ্চায়েত করাই আমাদের লক্ষ্য।"
No comments:
Post a Comment