মালদা: জাতীয় সড়কের ধারে জমি দখলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র মালদার মালতীপুর, বোমা ও গুলি চালানোর অভিযোগ, থমথমে এলাকা। এক বিধবার জমি দখলকে কেন্দ্র করে শনিবার এই উত্তেজনা ছড়ায়। এক প্রতিবেশী দলবল নিয়ে ওই জমি দখল করতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিধবার পক্ষ নিয়ে কয়েকজন বাধা দেওয়ায় বিপক্ষ গোষ্ঠী বোমাবাজি এমনকি গুলিও চালায় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় গুরতর জখম হয়েছে কয়েকজন।
ঘটনার পরে এলাকা থমথমে রয়েছে। যদিও পুলিশ বোমা ও গুলি চালোনা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি। গন্ডগোলের খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালতীপুর হাসপাতাল সংলগ্ন ৮১ নং জাতীয় সড়কের ধারে ৮ শতক জমি রয়েছে বিধবা রিজিয়ার। সেই জমি থেকে ৪ শতক বিক্রি করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন রিজিয়া। প্রথমে এলাকারই এক প্রতিবেশী মজিবুর রহমানের কাছে জমি বিক্রির জন্য বরাত নেন। কিন্তু অভিযোগ, বরাত নেওয়ার পরেই ওই মহিলা বুঝতে পারেন, মজিবুর ৪ শতকের বদলে ৫ শতক জমির জন্য স্বাক্ষর করিয়ে নেন তার।গ্রামের লোকের মুখে ঘটনার কথা জানতে পেরে জমি বিক্রি করতে নারাজ হন তিনি। মজিবুরকে টাকা ফেরতও দিয়ে দেন বলে দাবী করেন। সেই ৪ শতক জমি এলাকার বাসিন্দা দানেশ আলীর কাছে বিক্রি করেন।
কিন্তু শনিবার বাঁশ ও ইট নিয়ে এসে জমি দখল করতে শুরু করে মজিবুর, বলে অভিযোগ। রিজিয়া বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করা বলে অভিযোগ। তারপর বিধবার পক্ষ হয়ে স্থানীয় ক্লাবের বেশ কয়েকজন দখলে বাধা দিতে গেলেই শুরু হয় গন্ডগোল। বাঁশ-লাঠি নিয়ে একে অপরের ওপর চড়াও হয় তারা। মুহুর্তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।ঘ
টনায় ক্লাবের সদস্য মাসুম আলি সানু, কালু সহ বেশ কয়েকজন জখম হন। বর্তমানে মাসুম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিপক্ষ গোষ্ঠীর কয়েকজন জখম হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রিজিয়ার পক্ষে মোস্তাক আলী বলেন, 'মজিবুর বহিরাগতদের ডেকে নিয়ে এসে জমি জবরদখল করছিল। আমরা বাধা দিতে গেলে তারা বোমাবাজি করেন ও দুই রাউন্ড গুলি চালায়। তারপরে তারা ফাঁকা মাঠ দিয়ে পালিয়ে যায়।
মজিবুরকে যদিও এলাকায় পাওয়া যায়নি, তবে তার এক আত্মীয় দাবী করেন, বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা মিথ্যে।
রিজিয়া বলেন, 'আমি মজিবুরের কাছে জায়গা বিক্রি করতে চাইনি, তবুও তিনি জোরপূর্বক জমি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। আজ বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে জায়গা দখল করতে আসে। আমি ও ক্লাবের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তারা মারধর শুরু করেন।'
এদিকে ঘটনার পরেই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ।পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
No comments:
Post a Comment