প্রেমিকা কথা বলতে রাজি হননি, আর তাতেই ভয়ানক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন যুবক। ২০ বছর বয়সী প্রেমিকাকে স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে ৫১ বার আঘাত করে, নির্মমভাবে তাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। তরুণীর অপরাধ শুধু এটুকুই ছিল, তিনি অভিযুক্তের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলার সাউথ ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের (এসইসিএল) আবাসিক কলোনিতে।
জানা গিয়েছে, তরুণী উপজাতীয় সম্প্রদায়ের ছিলেন, যারা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত শেহবাজ যখন তরুণীর বাড়িতে পৌঁছায়, তখন তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। হামলার সময়, অভিযুক্ত তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে দেয়, যাতে কেউ তার চিৎকার শুনতে না পারে। এরপর তাকে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ৫১ বার আঘাত করে। মৃতার ভাই বাড়ি ফিরে বোনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। গত শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে। আশ্চর্য বিষয় হল, এই ঘটনাটি ঘটেছে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে, সেই সময় আশেপাশের লোকজন কাউকে আসতেও দেখেনি।
পুলিশ আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে অভিযুক্ত যশপুর জেলার বাসিন্দা, তিন বছর আগে আক্রান্তের সাথে বন্ধুত্ব করে। সে একটি যাত্রীবাহী বাসে কন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করত এবং তরুণী এতে যাতায়াত করত। অভিযুক্তরা পরে কাজের জন্য গুজরাটের আহমেদাবাদে চলে যায় এবং দুজনেরই ফোনে যোগাযোগ ছিল। আধিকারিক জানান, ওই তরুণী সম্প্রতি ফোনে তাঁর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিলে অভিযুক্ত তার বাবা-মাকেও হুমকি দেয়।
অভিযুক্ত শাহবাজ বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে খুন করতে গুজরাট থেকে ছত্তিশগড়ের ফ্লাইটে উঠেছিল। ঘটনাস্থল থেকে শাহবাজ খানের নামে গুজরাটের দুই দিন পুরনো বিমানের টিকিট পাওয়া গেছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী, স্ক্রু ড্রাইভারের আঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। তার বুকে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ৩৪ বার, পিছনে ১৬ বার এবং পাশে একবার আঘাত করা হয়েছিল। হৃদয়ের কাছের ক্ষত ছিল আরও গভীর।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পলাতক অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের চারটি দল গঠন করা হয়েছে।
অনেক সময় প্রেমে মানুষ এতটাই অন্ধ হয়ে যায় যে, ঠিক-বেঠিক জ্ঞান থাকে না। এমনকি সামনের মানুষটির জীবন নিতেও দ্বিধা করে না কেউ কেউ। ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলার এই ঘটনা যেন সেটাই আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
No comments:
Post a Comment