ভগবান শিবের অস্ত্রের নামে রকেট সিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে দেশে। এটি একটি লং রেঞ্জ গাইডেড রকেট সিস্টেম। এর নাম মহেশ্বরাস্ত্র। এটা নিঃসন্দেহে চলতি বছরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর। পৌরাণিক কাহিনীতে উল্লেখ আছে যে, ভোলেনাথেরও অনুরূপ অস্ত্র ছিল, যার মধ্যে তার তৃতীয় চোখের শক্তি ছিল। যে কাউকে পুড়িয়ে ছাই করার ক্ষমতা ছিল তার মধ্যে। এখন যে রকেটটি তৈরি হচ্ছে, তাকে আপনি দেশি হিমার্সও বলতে পারেন।
সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ তৈরি করছে মহেশ্বরাস্ত্র। কোম্পানির একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিক aajtak.in-এর সাথে একটি বিশেষ আলাপচারিতায় বলেন, এটা সত্য যে আমরা ভগবান শিবের অস্ত্র থেকে নামটি নিয়েছি। এর ক্ষমতাও একই রকম হবে। এটি একটি নির্দেশিত রকেট সিস্টেম। আমরা এর দুটি সংস্করণ তৈরি করছি; মহেশ্বরাস্ত্র-1 এবং মহেশ্বরাস্ত্র-2। প্রথমটির রেঞ্জ হবে 150 কিলোমিটার এবং দ্বিতীয়টির 290 কিলোমিটার।
দেড় বছরের মধ্যে এটি তৈরি হয়ে যাবে বলে জানান ওই আধিকারিক। বর্তমানে এই প্রকল্পে 300 কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। উন্নয়ন দ্রুত ঘটছে। এর গতি তার সবচেয়ে বড় ফায়ারপাওয়ার। এটি শব্দের চারগুণ বেগে শত্রুর দিকে ঝাঁপিয়ে পড়বে। মানে ঘন্টায় 5680 কিলোমিটার গতিবেগ। অর্থাৎ এটি এক সেকেন্ডে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। আপনি মহেশ্বরস্ত্র-1কে দেশি হিমার্সও বলতে পারেন। দ্বিতীয় সংস্করণটি হবে ব্রহ্মোস মিসাইলের সমান, তার মানে শত্রুর পালানোর কোনও সুযোগ নেই।
এই মুহূর্তে পিনাকা গাইডেড রকেট সিস্টেম এবং সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল (SSM)-এর মধ্যে অস্ত্রের ঘাটতি রয়েছে। পিনাকার রেঞ্জ 75 কিমি এবং SSM এর 350 কিমি। এই দুইয়ের মধ্যে অস্ত্রের অভাব ছিল, যা মহেশ্বরস্ত্র গাইডেড রকেট সিস্টেম সম্পন্ন করবে। ওই আধিকারিক বলেন, 'আসলে এগুলো গাইডেড মিসাইল, কিন্তু আমরা এগুলোকে রকেট বলছি।'
এই দুটিই মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম থেকে ছোড়া যায়, এমন রকেট হবে। ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমেও এগুলিকে গণনা করা যেতে পারে। এটি M142 HIMARS (হাই মোবিলিটি আর্টিলার রকেট সিস্টেম) এর মত হবে। অর্থাৎ ভারতের এ ধরনের একাধিক রকেট সিস্টেম কিনতে হবে না, যেগুলো আগে থেকে আছে সেগুলো আপডেট করা হবে। নতুন আমাদের দেশেই তৈরি হবে। এতে প্রতিরক্ষা খাতের ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং দেশীয় কোম্পানিগুলো লাভবান হবে।
দেড় বছর পর ট্রায়াল্স হবে। এগুলো হবে সব আবহাওয়ার রকেট। মানে যেকোনও আবহাওয়া, যেকোনও ভৌগোলিক এলাকায় এগুলিকে ছোঁড়া যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে বসানো হবে প্রচলিত অস্ত্র, যা সেনা বাঙ্কার, ট্যাংক, সাঁজোয়া যান ওড়াতে সাহায্য করবে। পাকিস্তান বা চীন সীমান্তে মোতায়েন করা হলে শত্রুর অবস্থা বেহাল হয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment