জ্যোতিষশাস্ত্র এবং লাল কিতাবে এমন কিছু শক্তিশালী প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে, যা দ্রুত প্রভাব দেখায়। লবঙ্গের কিছু সহজ কৌশলও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কুণ্ডলীতে গ্রহ ও নক্ষত্রের অবস্থানের শুভ ও অশুভ প্রভাব প্রতিটি মানুষের ওপর পড়ে। এই গ্রহ ও তাদের কর্মের কারণে মানুষ তার জীবনে সুখ-দুঃখ, কষ্ট, শুভ দিন, সৌভাগ্য-দুর্ভাগ্য দেখতে পায়। কিন্তু কখনও কখনও খারাপ দিনগুলি থেকে পুনরুদ্ধার করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় জ্যোতিষশাস্ত্র এবং লাল কিতাবে উল্লেখিত কৌশল ও প্রতিকার তাকে দারুণ স্বস্তি দিতে পারে। আমরা জানব লবঙ্গের এমনই কিছু প্রতিকার, যা আর্থিক অসুবিধা, ঝামেলা এবং বাধা থেকে মুক্তি দেয়। সেই সঙ্গে ভাগ্যকেও শক্তিশালী করে।
লবঙ্গের অলৌকিক কৌশল
- যাদের কুণ্ডলীতে রাহু ও কেতু গ্রহ অশুভ অবস্থানে থাকে, তারা এই দোষ দূর করতে প্রতি শনিবার লবঙ্গ দান করুন। এটি করলে রাহু-কেতু দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রতি শনিবার শিবলিঙ্গে লবঙ্গ নিবেদন করলেও রাহু-কেতু দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই ব্যবস্থাগুলো একটানা ৪০ দিন করলে ভালো হবে। এতে কষ্ট কমবে এবং জীবনে সুখ আসবে।
- আপনি যদি আপনার কাজে ব্যর্থ হন বা বারবার বাধার সম্মুখীন হন তবে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আপনার মুখে লবঙ্গ রাখুন এবং তারপর আপনার কর্মস্থলে পৌঁছে আপনার অধিপতি দেবতার কাছে সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করুন।
- সমস্ত চেষ্টার পরেও যদি আপনি আপনার কাজে সাফল্য না পান তবে মঙ্গলবার হনুমানজির সামনে জুঁই তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রদীপে কিছু লবঙ্গ রাখুন। তারপর হনুমান চালিসা পাঠ করুন এবং আরতি করুন। ২১ মঙ্গলবার পর্যন্ত এই প্রতিকার করুন।
- যদি ক্রমাগত অর্থের ক্ষতি হয় বা অর্থের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তবে শুক্রবার দেবী লক্ষ্মীর পূজা করুন। এছাড়াও পূজায় ৫টি লবঙ্গ এবং ৫টি কড়ি রাখুন। পরের দিন এই জিনিসগুলো লাল কাপড়ে বেঁধে ভল্টে বা টাকার জায়গায় রেখে দিন। এতে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ হবে এবং ঘরে আশীর্বাদ বর্ষণ শুরু হবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment