ঠোঁট ফাটা রোধে অনেক ঘরোয়া প্রতিকার কার্যকর হতে পারে। আমরা ঘরে থাকা জিনিস ব্যবহার করে ঠোঁট ফাটা রোধ করতে পারি।
শুষ্ক ঠোঁটের ঘরোয়া প্রতিকার: শীতকালে ঠোঁট ফেটে যায়। ফাটা ঠোঁট দেখতে কুৎসিত, সেইসাথে ব্যথা। অনেক সময় অতিরিক্ত ছিঁড়ে যাওয়ার কারণেও ঠোঁট থেকে রক্ত বের হতে থাকে। অনেকেই সারাদিন ঠোঁটে লিপবাম লাগিয়ে রাখেন। আমরা কিছু ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করে তাদের বিস্ফোরণ বন্ধ করতে পারি। এভাবে ঠোঁট নরম ও কোমল করা যায়।
ক্রিম
ক্রিম ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং তাদের নরম করে তোলে। দুধের ক্রিমে হলুদ মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান, রাতে এই রেসিপিটি ব্যবহার করলে ঠোঁট ফাটা দূর হবে।
অ্যালোভেরা
ফাটা ঠোঁট সারাতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। অ্যালোভেরার জেল বের করে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এতে মরা চামড়া উঠে যাবে এবং ঠোঁট হয়ে উঠবে কোমল ও কোমল।
মধু
মধু ঠোঁটের জন্য খুবই উপকারী। মধুতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান ত্বককে সুস্থ করতে কাজ করে। ঠোঁটে মধু লাগিয়ে ঘুমান, তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মধু আপনার ফাটা ঠোঁট রাতারাতি নিরাময় করবে।
ঘি ব্যবহার
ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে ঘিতে, যা ত্বকের কোষকে আর্দ্রতা দেয়। ঠোঁটে ঘি লাগালে ত্বক ময়েশ্চারাইজ হয় এবং ঠোঁট ফাটা বন্ধ হয়। লিপবামের মতো ঠোঁটে ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে।
নারকেল তেল
নারকেল তেল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে কাজ করে। আঙুলে নিয়ে ঠোঁটে লাগান। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর হবে। ঠোঁট ফাটা বন্ধ হবে এবং নরমও হবে।
জলপান করা
শীতের সময় শরীরে জলের অভাব হয়, যার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ঠোঁট ফাটে। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করে আমরা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে পারি, যার ফলে শুষ্কতার সমস্যা চলে যাবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment