স্কুল সার্ভিস কমিশন ইতিমধ্যেই এমন প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে যাদের নাম অবৈধভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল। ওই প্রার্থীদের নিয়োগ বাতিলের অনুমতি চেয়ে কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। সেই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেন। শুক্রবার মামলার শুনানি চলাকালে তিনি বলেন, হয়তো জানা যাবে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদই আসল অপরাধী। বোর্ড কিছু করতে না পারলে শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করা হতে পারে।
অবৈধ সুপারিশের তালিকায় থাকা ৯ জনের নাম এদিন আদালতে পেশ করা হয়। বিচারপতি ওই ৯ জনের ওএমআর শিট পরীক্ষা করতে বলেন। হাইকোর্ট বিকৃত ওএমআর শীট সম্পর্কে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কথা বলার সুযোগ দিয়েছিল। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বহু প্রাক্তন কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা সংশোধনাগারে রয়েছেন।
১২ জন শিক্ষক তাদের ওএমআর শিটের সমর্থনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। মামলায় ১২ জনকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ১২ জন শিক্ষককে তাদের ওএমআর শীটগুলির হেরফের সংক্রান্ত হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরবর্তী শুনানি হবে ২০ ডিসেম্বর। তিনি বলেন, নিয়োগ বাতিলের অধিকার কমিশনের আছে।
আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন দুই দফায় সুপারিশকৃত নামের তালিকা বেআইনিভাবে প্রকাশ করেছে। তালিকায় মোট ১৮৪ জনের মধ্যে ৮১ জন বর্তমানে কর্মরত। এর মধ্যে নয়জনকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। ওই নয়জনের সঙ্গে কমিশনকে বৈঠক করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নয়জন আইনজীবী, কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন। আগামী সপ্তাহের বুধবারের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছে, এই নয়জনের ওএমআর শিট পরীক্ষা করতে হবে। বাকিদের চেয়ে এই কয়েকজন কীভাবে সুপারিশ পেল তার যথাযথ জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন শোনা যাবে না। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর।
No comments:
Post a Comment