কর্ণের ইচ্ছানুসারে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং এখানে এসেছিলেন তাঁর শ্মশান করতে। এখানে এক ইঞ্চি জমিতে লাশ রাখা অসম্ভব ছিল। এমতাবস্থায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথমে সেই ভূমির উপর একটি তীর স্থাপন করেন। এরপর কর্ণের মৃতদেহ তার উপর রেখে দাহ করা হয়।
মহাভারত, একটি পৌরাণিক কাহিনী যার সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই অনেক দেখেছেন, শুনেছেন এবং পড়েছেন। এর কিছু চরিত্র এমন যে আজও মানুষ তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্মরণ করে। তাদের একজনের নাম কর্ণ। কর্ণকে তার সাহসিকতা, দাতব্য, প্রতিশ্রুতি এবং বন্ধুত্বের জন্য স্মরণ করা হয়। মহাভারত যুদ্ধের ১৭ তম দিনে এই বীরের মৃত্যু হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান কৃষ্ণ, তার মৃত্যুর পর কর্ণের সাহসিকতা এবং দানশীলতায় খুশি হয়ে তার জীবনের শেষ মুহুর্তে তাকে বর চাইতে বলেছিলেন। কর্ণ এমন একটি জমিতে তাঁর শেষকৃত্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে আগে কেউ দাহ করেননি।
১ ইঞ্চি জমি এবং তীরে দাহ করা হয়েছিল
এটা বিশ্বাস করা হয় যে ঈশ্বর সারা পৃথিবীতে এমন কোনও জমি খুঁজে পাননি যেখানে আগে কোনও ব্যক্তির দাহ করা হয়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তিনি সুরাট শহরের তাপ্তি নদীর তীরে মাত্র এক ইঞ্চি জমি পান, যেখানে আগে কারও মৃতদেহ দাহ করা হয়নি। সুরাট শহরের বড়চা এলাকার মানুষ বিশ্বাস করেন যে, স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর ইচ্ছানুযায়ী কর্ণের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করতে এখানে এসেছিলেন। এখানে এক ইঞ্চি জমিতে লাশ রাখা অসম্ভব ছিল। এমতাবস্থায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথমে সেই ভূমির উপর একটি তীর স্থাপন করেন। এরপর কর্ণের মৃতদেহ তার উপর রেখে দাহ করা হয়। লোকে এখন এই জায়গাটিকে 'তুলসীবাদি মন্দির' বলে চিনে।
মন্দিরের সবচেয়ে বড় রহস্য
বিপুল সংখ্যক মানুষ এই মন্দির দর্শন করতে আসেন। মন্দির চত্বরে একটি গোশালা আছে, যেখানে গরু পরিবেশন করা হয়। এই মন্দিরের প্রতি মানুষের অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। এই মন্দিরটি তুলসীবাড়ি মন্দির নামেও পরিচিত। এখানেও রয়েছে তিন পাতা বাদের মন্দির। আসলে এখানে একটি বটগাছ আছে যা হাজার বছরের পুরনো বলা হলেও আজ পর্যন্ত তাতে মাত্র তিনটি পাতা এসেছে। আশ্চর্যের বিষয় এই তিনটি পাতা আজও সবুজ। অমাবস্যা ও পূর্ণিমা উপলক্ষে এখানে বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment