পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনার তালিকায় নাম পঞ্চায়েত সদস্যের মা ও বউয়ের, সদস্যের দাবী তাকে ফাঁসানো হয়েছে, তালিকায় নাম রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতিরও। কীভাবে নিজেদের পকেট ভর্তি হবে, তৃণমূল সেটাই ভাবে- কটাক্ষ বিজেপির। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের।
রাজ্যজুড়ে আবাস যোজনার দুর্নীতির ভুঁড়ি ভুঁড়ি অভিযোগ উঠেছে শাসকের দলের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির কারণে টাকা বন্ধ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আবার নতুন করে আবাস যোজনার ঘরের তালিকা প্রকাশ হতেই একাধিক জায়গায় পাকা বাড়ি থাকা সত্বেও তালিকায় নাম তৃণমূলের একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য বুথ সভাপতিদের। সেই ঘটনাই এবার প্রকাশ্যে এল বারাসত কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের ব্লক ১-এর লক্ষ্মীপুর এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য শাহাবুদ্দিন ও বুথ সভাপতি আয়ুব আলীর বিরুদ্ধে।
পঞ্চায়েত সদস্য সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসতে না চাইলেও ফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। তাকে ফাঁসানোর জন্যই তালিকায় তার মা ও বউয়ের নাম দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এ ঘর নিতে চান না। সততার কারণে আগেও একাধিকবার উচ্চ নেতৃত্বের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও ফিরিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে, 'লক্ষ্মীপুর গ্রামের বুথ সভাপতি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই বলেন এ ঘর আমি চাই না।
গোটা বিষয় নিয়ে কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম পাল জানান, 'কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাড়ি এসেছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৮০০-র বেশি বাড়ি বাতিল করা হয়েছে। এখনও বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। তবে পঞ্চায়েতে সকল সদস্যকেই বলা হয়েছিল তারা যেন বাড়ি না নেয়। তার মধ্যেও কিছু মানুষ কারচুপি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সমস্ত রকম পদক্ষেপ করছে, আমরাও চাই স্বচ্ছতার সাথে সকলে বাড়ি পাক। এখনও বহু গরীব মানুষ বাড়ি পায়নি, তারাও যাতে বাড়ি পায় সেদিকেও নজর রাখব।'
গোটা ঘটনা নিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি মন্ডল সভাপতি বলেন, তৃণমূল শুধু কীভাবে নিজেদের পকেট ভর্তি হবে, আত্মীয়-স্বজনের পকেট ভর্তি হবে, সে কথাই ভাবে। পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী ও মায়ের নামে বাড়ির তালিকায় নাম প্রভাব খাটিয়ে করেছে, এমনটাই মত বিজেপির ।
No comments:
Post a Comment