খেজুরে থাকা ঔষধি গুণের কারণে, এটি ঠান্ডা মৌসুমে অনেক বেশি খাওয়া হয়। খেজুর শুধু আমাদের শরীরকে উষ্ণ রাখতেই কাজ করে না, অনেক রোগ নিরাময়ও করে। আসলে খেজুরকে বলা হয় পুষ্টি ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ভান্ডার। আসুন জেনে নিই শীতের মৌসুমে খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী।
খারাপ কোলেস্টেরল
খারাপ কোলেস্টেরল হৃদরোগের সূত্রপাত করে। খেজুরে পাওয়া ফাইবার এই খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে কাজ করে। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা বেশি তাদের খাদ্যতালিকায় এটি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ।
উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের শীতকালে তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খেজুর অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। খেজুরে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী বলে মনে করা হয়। এই ধরনের লোকদের প্রতিদিন প্রায় চারটি খেজুর খাওয়া উচিৎ।
রক্তাল্পতা
খেজুর রক্তাল্পতা নিরাময়েও কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। রক্তশূন্যতায় শরীরে রক্তের অভাব হয়। খেজুর শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে, যা শরীরে রক্ত তৈরিতে কাজ করে। এছাড়াও এটি ফাইবার এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
শীতকাল
শীতের মৌসুম এলেই মানুষ ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশির সমস্যায় ভুগতে শুরু করে। শীতকালে খেজুর খেলে শরীর গরম থাকে এবং মৌসুমি রোগ দূরে থাকে। তাই খেজুরকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বা ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। শীতের মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় চারটি খেজুর খাওয়া উচিৎ। খেজুর দুধে সিদ্ধ করেও খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খেজুর একটি দুর্দান্ত জিনিস হিসাবে বিবেচিত হয়। খেজুরের গ্লাইসেমিক সূচক খুবই কম, যা এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী করে তোলে। ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত শোধিত চিনি থেকে দূরে থাকা এবং খেজুরের মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গে এটি খাওয়া শুরু করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment