আয়ুর্বেদে নিম গাছকে ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। নিম পাতার ব্যবহার অনেক স্বাস্থ্য সমস্যায় কার্যকর। এই কারণেই নিম পাতাকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নিম পাতার ব্যবহার ত্বক, সংক্রমণ, ক্ষত, পোড়া এবং আরও অনেক রোগের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। তাই আজকের নিবন্ধে আমরা আপনাকে নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি।
নিম পাতার স্বাদ তেতো, তাই মানুষ সেবন করতে পারে না। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতা চিবিয়ে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং রক্তও বিশুদ্ধ হয়।
এমনকি পোড়ানোর ক্ষেত্রেও নিম পাতার ব্যবহার খুবই উপকারী। এর পাতায় অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। পোড়া জায়গায় নিম পাতা লাগালে জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
নিম হল চর্মজনিত রোগের প্রতিষেধক। দাদ, চুলকানি, চুলকানি বা অন্যান্য ধরনের চর্মরোগ দূর করতে নিম পাতা খুবই উপকারী। এর জন্য নিমের তেল লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করতে পারেন বা স্নানের জলে নিম পাতা মিশিয়ে স্নান করতে পারেন।
পাথরের রোগেও নিম পাতার ব্যবহার কার্যকর। কিডনিতে পাথর হলে নিম পাতা শুকিয়ে ভুনা করে ছাই তৈরি করুন। প্রতিদিন দুই থেকে তিন গ্রাম কুসুম গরম জলের সঙ্গে খান। এর ফলে পাথর গলে যায় এবং এটি পাথর বের করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও নিম খুবই উপকারী। এতে গ্লাইকোসাইড এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর জন্য প্রতিদিন নিম পাতা খান। নিম পাতা খেতে না পারলে এর পাতার তাজা রস বের করে পান করুন।
No comments:
Post a Comment