মহিলাদের ডিম্বাশয়ের বাইরে ছোট ছোট পিণ্ড আকারে তৈরি হয় পিসিওএস, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এটি। এরফলে ডিম্বাশয়ের আকার বেড়ে যায়, শরীরে অনেক হরমোনের সমস্যা বাড়ায়। পিসিওএস হওয়ার মূল কারণ কী, এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যায়নি। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া, গভীর রাতে ঘুম থেকে সকালে দেরিতে ওঠা এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় না হওয়ার মতো কারণ।
গত কয়েক বছরে মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঘটনা খুব দ্রুত বেড়েছে। এটি হলে শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা যায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক-
লক্ষণ :
এই সমস্যায় ভুগছেন এমন বেশিরভাগ মহিলারই মুখে চুল গজানোর সমস্যা, হাত-পায়ে লম্বা ও ঘন চুল হয়ে থাকে।
PCOS এর আরেকটি প্রধান লক্ষণ হল মেজাজের পরিবর্তন। পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা তো হয়ই। গর্ভাবস্থায়ও সমস্যা হয়। স্থূলতা বাড়তে থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে, যার কারণে মানসিক চাপ, নিদ্রাহীনতা, কোনো কাজে আগ্রহ না থাকা, অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হওয়া, স্মৃতিশক্তির সমস্যা ইত্যাদি নানা সমস্যা এর অন্তর্ভুক্ত।
তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
যেসব মহিলার ওজন PCOS-এর কারণে বেড়ে যায়, তারা যদি তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে তাদের স্বাভাবিক গর্ভধারণের সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
PCOS-এ ওজন কমানোর জন্য যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম, ধ্যান এবং হাঁটা হল ব্যায়ামের চেয়ে বেশি উপকারী।
যোগব্যায়াম ব্যায়ামের চেয়ে ভালো কেন?
যোগব্যায়াম বেশি কার্যকর কারণ খুব দ্রুত ব্যায়াম, অত্যধিক ব্যায়াম বা কঠোর ব্যায়ামের কারণে শরীর ও মস্তিষ্কের উপর স্ট্রেস বহুগুণ বেড়ে যায়, যার ফলে শরীরের অভ্যন্তরে কর্টিসলের মাত্রা বাড়তে থাকে। কর্টিসল একটি নেতিবাচক হরমোন যা PCOS-এর অবস্থাকে গুরুতর করে তুলতে পারে।
যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম, মেডিটেশন করার প্রভাব শুধুমাত্র হরমোনের ভারসাম্যের উপর নয়, তারা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও দ্রুত প্রভাব দেখায়। এতে ওজন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে থাকে।
No comments:
Post a Comment