ঋতু অনুযায়ী খাবার ও পানীয় গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং দেখা যায়, মজাটাও এর মধ্যেই রয়েছে। শীত মৌসুমে আমাদের খাবার-দাবারে পরিবর্তন আসে। আমরা কম জল এবং বেশি খাবার খাওয়ার উপর জোর দিই, যা সরাসরি আমাদের হজমের উপর প্রভাব ফেলে। শীতকালে তৃষ্ণা কম লাগে, যার কারণে আমরা জল কম পান করি কিন্তু খাবারে ঘি, তেল ও মসলাযুক্ত খাবারের পরিমাণ বেড়ে যায়, যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়। এর বিরতি হল রস যার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
আমরা গাজরের রস সম্পর্কে কথা বলছি। গাজরের রসের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এমনও দেখা যায় যে শীতে অনেকেই গাজরের জুস পান করতে বলেন। একই সঙ্গে শীতকালে গাজরের জুস পান করতেও দেখা যায় মানুষকে। এখন কেউ যদি এই জুস পান করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো কারণ আছে, কিন্তু এখন এই জুস কীভাবে পেট সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে।
ঠান্ডায় তাপমাত্রা কমে যায়, যার ফলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রাও কমতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে উষ্ণ রাখতে শরীর বেশি খাবারের দাবি করে। এ কারণে একদিকে মানুষ বেশি খায় অন্যদিকে শীতে মানুষের শারীরিক পরিশ্রমও কমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে এটি হজমের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিযোগ থাকে।
গাজরের রসের উপকারিতা
গাজরের রস পেট ও চোখের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। এতে অনেক ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেমন ভিটামিন এ, সি, ডি, কে ইত্যাদি। এগুলো সুস্থ শরীরের জন্য অপরিহার্য। গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ক্যান্সারের মতো সমস্যায় সহায়ক। ওজন কমাতেও এই জুস উপকারী।
কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন এমন ব্যক্তিকে অবশ্যই তার ডায়েটে গাজরের রস যোগ করতে হবে। এটি পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী রাখতে খুবই সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্য হোক বা হজমজনিত যেকোনো ধরনের সমস্যা, গাজরের জুস অবশ্যই পান করতে হবে। এতে ফাইবার থাকে এবং এটি পেট পরিষ্কার করতে কার্যকর।
No comments:
Post a Comment