১৯৫০ সালে, ২৬শে জানুয়ারী সংবিধান কার্যকর হওয়ার দুই দিন পরে, ২৮শে জানুয়ারী, ১৯৫০ সালে গঠিত হয় সুপ্রিম কোর্ট । একে ফেডারেল কোর্ট বলা হত। বিচারপতিরা সুপ্রিম কোর্টে রায় ঘোষণা করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে কিভাবে বিচারক নিয়োগ করা হয় ? চলুন জেনে নেই-
সংবিধান কি বলে?
সংবিধানের ১২৪ (২) অনুচ্ছেদ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই অনুসারে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিযুক্ত হন। কলেজিয়ামে প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের চারজন সিনিয়র বিচারপতি রয়েছে। এই কলেজিয়াম সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি রাজ্যগুলির হাইকোর্টের বিচারপতিদেরও নিয়োগ করে। কলেজিয়ামের সুপারিশের পর রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ করেন।
কলেজিয়াম কীভাবে কাজ করে?
সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের নেতৃত্বে রয়েছে সিজেআই। এ ছাড়া এতে আদালতের আরও চার জ্যেষ্ঠ বিচারক রয়েছেন। সরকারের জন্য কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে নেওয়া জরুরি।
এ ছাড়া হাইকোর্টের কোন বিচারপতিকে পদোন্নতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হবে, তাও কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত। সরকার এক বা একাধিক নাম পুনর্বিবেচনার জন্য কলেজিয়ামে ফেরত পাঠাতে পারে, কিন্তু কলেজিয়াম যদি আবার নাম পাঠায়, তাহলে সরকারকে এই সুপারিশ মেনে নিতে হবে।
হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার যোগ্যতা:
দেশের নাগরিক হতে হবে। হাইকোর্টে বিচারক হতে হলে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে।এর পাশাপাশি ১০ বছরের ওকালতির অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার যোগ্যতা:
দেশের নাগরিক হতে হবে। কমপক্ষে পাঁচ বছর হাইকোর্টে বিচারপতি হতে হবে। কমপক্ষে ১০ বছর হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করার অভিজ্ঞতা বা রাষ্ট্রপতির মতে একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ হতে হবে।
No comments:
Post a Comment