তোতাপাখি কীভাবে মানুষকে নকল করে?

 

অনেকেরই পশু-পাখির প্রতি এতটাই আসক্তি থাকে যে তারা তাদের পোষা প্রাণী হিসেবে নিজের কাছে রাখে।  তোতাপাখি অনেকেই পুষে থাকেন। তোতাপাখির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল মানুষের অনুকরণ করার ক্ষমতা রয়েছে তার । কিন্তু কীভাবে তারা এটি করতে পারে এর পেছনের রহস্য জানার জন্য বিজ্ঞানীরা বছরের পর বছর গবেষণা করে অবশেষে এর রহস্য খুঁজে পেয়েছেন । চলুন জেনে নেই তা -

 প্লস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছিল যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী সহ বিজ্ঞানীদের একটি দল তোতাপাখির মস্তিষ্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত পার্থক্য খুঁজে পেয়েছে, যা তার অনুকরণ করার ক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য দেয়।  

 তোতাদের জিন প্যাটার্ন অধ্যয়ন করার পরে,এটি পাওয়া গেছে যে তোতাদের মস্তিষ্ক অন্যান্য পাখির থেকে আলাদা, যেমন গান বার্ড এবং হামিংবার্ড।

 তোতাপাখির মস্তিষ্কে কণ্ঠশিক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী একটি কেন্দ্র পাওয়া যায়।  এই কেন্দ্রটিকে 'কোর' বলা হয়।  এছাড়াও, তোতাপাখির একটি বাইরের বলয় বা খোলও রয়েছে যা কণ্ঠশিক্ষায় জন্য সহায়ক। গবেষণা দলটি দেখেছে যে কিছু প্রজাতির তোতাপাখিতে এই রিংটি বড়।  এই ধরনের তোতাপাখিরা মানুষকে ভালোভাবে অনুকরণ করতে সক্ষম।

 বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় দেখেছেন, নিউজিল্যান্ডে পাওয়া প্রাচীনতম প্রজাতির তোতা পাখি 'কেয়া'-তেও এই রিং পাওয়া যায়।