নয়াদিল্লির কনট প্লেসে দক্ষিণমুখী বজরংবলীর একটি প্রাচীন মন্দির অবস্থিত। এটি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বিশাল মন্দির। এই মন্দিরে রোজ ভক্তদের ভীড় হলেও মঙ্গলবার, শনিবার, হনুমান জয়ন্তী বা বিশেষ উৎসবে মন্দিরে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় হয় । চলুন জেনে এই মন্দিরে কিছু ইতিহাস-
মন্দিরের ইতিহাস :
মহাভারতে ইন্দ্রপ্রস্থ শহর, যমুনা নদীর তীরে পাণ্ডবরা প্রতিষ্ঠা করেন। ইন্দ্রপ্রস্থে পাণ্ডবদের শাসন এবং হস্তিনাপুরে কৌরবদের শাসন ছিল। এই ইন্দ্রপ্রস্থ প্রতিষ্ঠার সময় পাণ্ডবরা এই শহরে পাঁচটি হনুমান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, হনুমানের এই দক্ষিণমুখী মন্দিরটিও সেই পাঁচটি মন্দিরের একটি।
মন্দিরটির নির্মাণকাল ১৩৬৪ খ্রিস্টাব্দ হিসাবে ইতিহাসের পাতায় বর্ণিত হয়েছে। রাজা মানসিংহ তাঁর পুত্র জয় সিংহের নামে মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। রাজা মানসিংহ কিছু কাজের জন্য মজুরদের এই জায়গা পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। খননকালে এখানকার মাটি থেকে হনুমানের মূর্তি বেরিয়ে আসে। এরপর রাজা মানসিংহ এই স্থানে হনুমানের মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেন।
মন্দিরের গুরুত্ব :
এই মন্দিরে রয়েছে লিখিত হনুমান চালিসা। ১৬ শতকে যখন সাধু তুলসীদাস দিল্লিতে বেড়াতে এসেছিলেন, তখন তিনি এই মন্দিরে এসেছিলেন। তুলসীদাস , এই পবিত্র স্থান থেকে ৪০টি চতুষ্পদ সহ হনুমান চালিসা লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন।
এই দক্ষিণমুখী মন্দিরটি শুধুমাত্র হিন্দুদের নয়, সমস্ত ধর্মের ঐক্যের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। বলা হয় মুঘল সম্রাট আকবর এই মন্দিরে পুত্র সন্তানের কামনা করেছিলেন এবং তারপর সেলিমকে পুত্র হিসেবে পান। আজও মন্দিরের চূড়ায় ওম ও কিরীট কলশ সহ চাঁদ বিরাজ করছে, যা সাম্প্রদায়িক ঐক্যের এক বিরাট উদাহরণ।
No comments:
Post a Comment