পণের দাবীতে গৃহবধূকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী ও দুই ননদের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম সাবেকুন নাহার বিবি(৩২)।মৃতদেহ ফেলে পালানোর অভিযোগ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। ঘটনায় ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে, মৃতদেহ আটকে রেখে মৃত্যুর সঠিক কারণ ও দোষীদের গ্ৰেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ দেখান সাবেকুনের বাপের বাড়ির সদস্যরা। কোনও ক্রমে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে শনিবার রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।
দেগঙ্গার সোহাই এলাকার সাবেকুন নাহারের সাথে ১৫ বছর আগে দেগঙ্গার কলাপোল এলাকার সবজি ব্যবসায়ী জুলফিকার আলীর সামাজিক মতে বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর পণের দাবীতে সাবেকুনের ওপর অত্যাচার শুরু হয়। তাদের দাবী মতো এক এক সময় ফ্রিজ, নগদ টাকা দেওয়ার পরও অত্যাচার থামত না। আরও অভিযোগ, এই অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যেত সাবেকুনের দুই ননদ এলে। শনিবারও ঘটনার সময় দুই ননদ উপস্থিত ছিল বলেই অভিযোগ।
সাবেকুনের বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবী, শনিবার সন্ধ্যায় তারা খবর পান সাবেকুন আত্মহত্যা করেছেন। মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সাবেকুনের বাবা আনিসুর গিয়ে দেখেন মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে সাবেকুন। পাশে কান্নায় ভেঙে পড়েছে তার সন্তান। আরও দেখা যায়, শ্বশুর বাড়ির লোকজন সেখান থেকে উধাও।
মৃত সাবেকুনের পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে মারধর করে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে। রবিবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।দোষীদের গ্ৰেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবী করেন মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যরা।
No comments:
Post a Comment