২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে পৌষ পুত্রদা একাদশী উপবাস পালন করা হবে। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর জন্য উপবাস পালন করা হয়। এই উপবাস পালন করলে অনেক ধরনের দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং সন্তান সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়।
২০২৩ সাল শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি, তারপর নতুন বছরের সাথে একটি নতুন শুরু হবে। সেই সঙ্গে উপবাস ও উৎসবও শুরু হবে। আমরা যদি নতুন বছরে প্রথম উৎসবের কথা বলি, তা হল পৌষ পুত্রদা একাদশী। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর জন্য উপবাস রাখা হয়। পৌষ মাসের শুক্লপক্ষে এই উপবাস পালিত হবে। হিন্দু ধর্মে এই উপবাসকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পুত্রদা একাদশী বৈকুণ্ঠ একাদশী নামেও পরিচিত।
তারিখ
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, যে ব্যক্তি এই উপবাস পালন করে সে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পায়। বিশেষ করে শিশুদের সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে এই উপবাস পালন করা হয়। এই দিনে উপবাস করে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয়। নিয়ম মেনে এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করলে সন্তানের জন্ম হয়। এবার একাদশী উপবাস পালিত হবে ২ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার।
শুভ সময়
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, একাদশী তিথি ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭:১২ মিনিটে শুরু হয় এবং ২ জানুয়ারি রাত ৮:২৪ মিনিটে শেষ হয়। এক্ষেত্রে উদয় তিথি অনুসারে পুত্রদা একাদশী উপবাস পালিত হবে ২ জানুয়ারি। একই সময়ে, ৩ জানুয়ারী সকাল ৭:১৬ টা থেকে ৯:২২ পর্যন্ত উপবাস পালন করা যাবে।
ব্রহ্মচর্য পালন
পৌষ পুত্রদা একাদশীর উপবাসের জন্য, দশমী তিথিতে দ্বিতীয় প্রহর ভোজ করার পর সূর্যাস্তের পর খাবার খাবেন না। দশমী তিথিতে সাত্ত্বিক খাবার খান এবং ব্রহ্মচর্য পালন করুন। এই দিনে ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে ভগবানের ধ্যান করে উপবাসের সংকল্প করুন।
নির্জলা উপবাস
উপবাসের সংকল্পের পর গঙ্গাজল, তুলসি ডাল, তিল, ফুল পঞ্চামৃত দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করুন। এই দিনে নির্জলা উপবাস পালন করা হয়। এই দিনে কোনও অভাবী ব্যক্তি বা ব্রাহ্মণকে অন্ন নিবেদন করলে পুণ্য লাভ হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment