নতুন বছরের প্রাক্কালে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। যুবতীকে বাড়িতে একা পেয়ে স্থানীয় ৫ জন তাকে গণধর্ষণ করে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর যুবতীকে খুনও করেছে দুষ্কৃতীরা। গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে স্থানীয় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের বাবা। নিহতের বাবা আরও জানান, তার কাছে ফোন এসেছে আপনার মেয়ে মারা গেছে। বাড়িতে পৌঁছে মেয়ের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন অসহায় বাবা।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতের বাবা আরও জানিয়েছেন যে এই পাঁচটি স্থানীয় ছেলে প্রায়ই আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত এবং কটূক্তি করত। তারা দীর্ঘদিন ধরে তাকে অনুসরণ করে আসছিল। আমি তাদের শাস্তি দেখতে চাই। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির এসপি বিশ্বজিৎ মাহাতো জানিয়েছেন যে পরিবারের পক্ষ থেকে রিপোর্ট পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছে। একইসঙ্গে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় শতাধিক লোকজন অভিযুক্তদের বাড়িতে হানা দেয়। অভিযুক্তদের বাড়ি ভাংচুর চালায়। একই সঙ্গে আজ এক অভিযুক্তকে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করে পুলিশ। পুলিশ আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরোধ করেছে। কোতয়ালী থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযুক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে কোতোয়ালি থানা চত্বরে বিক্ষোভে নামেন স্থানীয় জনগণের একটি বড় অংশ। জলপাইগুড়ির এসপি বিশ্বজিৎ মাহাতো জানিয়েছেন, মেয়েটির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
No comments:
Post a Comment