চিকিৎসায় পরিষেবা দিতে গাফিলতির জের, ৮১ জন চিকিৎসককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল রাজ্য সরকার। এদের মধ্যে গত ৫ বছর ধরে চাকরিতে অনুপস্থিত ছিলেন ৬৪ জন চিকিৎসক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা বিহারের। নীতিশ সরকারের এই পদক্ষেপে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে চিকিৎসা বিভাগে।
এর পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বিহার সরকার। রাজ্যের প্রাথমিক মধ্য ও মাধ্যমিকের পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য জন-সহযোগিতায় জমি এবং ভবন অধিগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে নামকরণের প্রক্রিয়াকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার এই সমস্ত সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছে নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভা।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। প্রধান সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মোট ৪১টি এজেন্ডায় সিলমোহর পড়ে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে, মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এস সিদ্ধার্থ বলেন, মন্ত্রিসভা টানা পাঁচ বছর পরিষেবা দেয়নি এমন ৮১ জন ডাক্তারকে বরখাস্ত করার অনুমোদন দিয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যের নদীতে আসা নালার নোংরা জল আগামী দিনে সরাসরি পড়বে না। নদীতে জল যাওয়ার আগে তা সঠিকভাবে শোধন করা হবে। এমন ১৭৩টি ড্রেন চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলোর নোংরা জল শোধন করা হবে। এই কাজে ব্যয় হবে ১৬১.৬২ কোটি টাকা। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সভাপতিত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
শিল্প অধি-দফতরের আলোচ্যসূচিতে বিভিন্ন প্রস্তাবে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে মুজাফফরপুর, বৈশালী, বেগুসরাই, কিষাণগঞ্জে অনেক প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। শিক্ষা বিভাগের অধীনে, যার ওপর সরকার সম্মত হয়েছে, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য কলেজের শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট স্কিম ২০১৮-এর ওপরেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এর পাশাপাশি, বিএন মণ্ডল বিশ্ববিদ্যালয়, মাধেপুরায় ১৮টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর বিভাগ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি বিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং পাটনা আইন কলেজের সহকারী অধ্যাপক, শিক্ষকের ১৪৮ টি পদ সৃষ্টি করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া ৪১টি কর্মী পদ সৃষ্টির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার বিভাগ সম্পর্কিত একটি পৃথক প্রস্তাবে, মন্ত্রিসভা ঔরঙ্গাবাদে দুটি জমি রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে। এর পাশাপাশি দারভাঙ্গায় নগরোন্নয়ন ও আবাসন দফতরের জমি হস্তান্তরের প্রস্তাবেও নীতিশ মন্ত্রিসভার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদের রফিগঞ্জ জোনে, একটি রেল প্রকল্পের জন্য একটি প্লটের গ্রহণযোগ্যতাও অনুমোদিত হয়েছে। গয়ার বড়ছট্টিতে পাওয়ার গ্রিড স্থাপনের জন্য প্লট অনুমোদন করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment