বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের। আদালত বলেছে, নারীর বন্ধ্যাত্ব বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে না। একইসঙ্গে আদালত এটাও স্পষ্ট করেছে যে, বন্ধ্যাত্বের কারণে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন এমন স্ত্রীকে ত্যাগ করাটা হবে ‘মানসিক নিষ্ঠুরতা’। স্বামীর করা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, শুনানির সময় বিচারপতি শম্পা দত্তের (পল) আদালত বলেছিল যে বাবা-মা হওয়ার অনেকগুলি বিকল্প রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একজন জীবনসঙ্গীকে বুঝতে হবে, কারণ শুধুমাত্র একজন সঙ্গী অন্য সঙ্গীকে মানসিক, শারীরিক শক্তি ফিরে পেতে সাহায্য করতে পারে। এইভাবে, মাঝপথে বন্ধ্যাত্বকে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য ভিত্তি করা যায় না। আসলে, ৬ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে, একজন স্বামী তার স্ত্রীর কাছ থেকে তালাক চেয়ে আবেদন করেছিলেন। যার ইস্যু ছিল এখন বউ আর মা হতে পারবে না। একই বিষয়ে শুনানি করতে গিয়ে রায় দেয় হাইকোর্ট।
স্বামী আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করার পর স্ত্রীও বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক, শারীরিক হেনস্থা ও নিষ্ঠুরতার ধারায় মামলা করেছেন স্ত্রী। এরপর থেকে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন ছিল। স্ত্রীর বন্ধ্যাত্বের কারণে স্বামী তাকে তালাক দিতে চেয়েছিলেন। আদালতে স্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়, অকালে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। সব জেনেও ডিভোর্স চায় স্বামী।
একই সঙ্গে আদালত এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কোনও নারীর বন্ধ্যাত্ব বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হতে পারে না। একইসঙ্গে আদালত এটাও স্পষ্ট করেছে যে, বন্ধ্যাত্বের কারণে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন এমন স্ত্রীকে ত্যাগ করাটা হবে ‘মানসিক নিষ্ঠুরতা’। সেই সঙ্গে স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও খারিজ হয়ে যায়। স্বামী-স্ত্রীর বিয়ে হয়েছে ৯ বছর। ওই নারী পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। মহিলা বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সে চিকিৎসাধীন।
No comments:
Post a Comment