গাড়ির ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যায় স্কুটি আরোহী একটি মেয়ে। মেয়েটির দেহ গাড়িতে আটকে গেলেও গাড়ির আরোহীরা থামেনি এবং তাকে প্রায় 7 থেকে 8 কিলোমিটার টেনে নিয়ে যেতে থাকে। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর থেকে সুলতানপুরীর মানুষ ক্ষুব্ধ। এ ব্যাপারে পুলিশের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। একদিকে পুলিশ বিষয়টিকে ঘটনা হিসেবে মানতে রাজি নয়, অন্যদিকে পুলিশ স্টেশনে যাওয়া গাড়িতে পাথর ছোঁড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বিক্ষুব্ধ লোকেরা সুলতানপুরি থানার বাইরে বিক্ষোভ করে এবং দিল্লী বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার রাখি বিড়লার গাড়ি ভাঙচুর করে। কেউ কেউ থানায় ঢুকে পড়েন। পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর দাবী, ধর্ষণের দিক থেকেও বিষয়টি তদন্ত করা হোক।
অন্যদিকে, রাখি বিড়লা বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, "মানুষের ক্ষোভ ন্যায্য এবং তাই হওয়া উচিৎ। পুলিশ প্রশাসনের দুর্বল মনোভাব। মানুষের ক্ষোভ আমার বা আমার গাড়ির ওপর পড়লে কিছু যায় আসে না, আমাদের মেয়ে যেন বিচার পায় সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, লোকেরা ভেবেছিল এটা পুলিশের গাড়ি।
আউটার দিল্লীর ডিসিপি হরেন্দ্র সিং বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, "গাড়িতে বসা 5 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে IPC 304 ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।" আজ অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করে পুলিশি রিমান্ডের দাবী জানানো হবে। একই সঙ্গে চিকিৎসক বোর্ডের মাধ্যমে নিহতের ময়নাতদন্ত করা হবে।
No comments:
Post a Comment