নেতাজি জয়ন্তীতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতার। তিনি বলেন যে " যতই তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগ করা হোক না কেন, আমাদের ভয় দেখানো যাবে না।" সোমবার ময়দানে নেতাজির ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "দেশ আজ বড় অসহায়। মানুষ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, কিন্তু আমরা পালিয়ে যাইনি, যত খুশি এজেন্সি লাগাও। প্রজাতন্ত্র দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে জনগণের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আমরা গর্বিত যে আমরা ভারতীয় এবং বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছি।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আমাদের আদর্শ। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু একজন পথপ্রদর্শক। নেতাজির দেখানো পথেই চলব। নেতাজির জয় হিন্দ আমাদের পথ দেখাবে এবং আমরা বিজয় পাব।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুভাষ চন্দ্র বসু পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেছিলেন। প্ল্যানিং কমিশন ভেঙ্গে দিয়ে এখন পরিকল্পনা বা কমিশন নেই। আমার বুদ্ধি কম। শুধু একজন মানুষই সব জানে। এটা ঘটতে পারে না। পরিকল্পনা কমিশন থেকে শুরু করে আইএনএ, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর সুভাষ চন্দ্র বসুকে দেশের নেতা বলেছেন। দেশের নেতাকে কারও কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হয় না। নেতৃত্বের গুণ জন্ম থেকেই থাকে। তার রাজনীতিতে মাধুর্য ও সৌন্দর্য ছিল। দেশের নেতা হওয়া উচিৎ সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো। রাজেন্দ্র প্রসাদের মতো হওয়া উচিৎ।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী নেতাজি দ্বারা গঠিত হয়েছিল। জয় হিন্দের স্লোগান গোটা ভারতকে এক করে দিল। সঙ্গীত আমাদের জাগিয়ে তোলে। রবীন্দ্রনাথের গানের উদ্ধৃতি আমাদের অনুপ্রেরণার কথা মনে করিয়ে দেয়।"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বাংলার মানহানি হচ্ছে। তদন্ত সংস্থার নামে তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে, কিন্তু ভয় দেখানো যাবে না। অনেকে পালিয়ে গেছে। দেশ আজ অসহায়। কোনওভাবে বাংলাকে বাঁচান।" ঐক্যের বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজা-প্রজাদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ থাকবে না। তাই তিনি লিখেছেন আমরা সবাই রাজা। বাংলায় ৫০টিরও বেশি কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে। কত দল পাঠানো হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। কিছু লোকের কাছে এটি একটি বড় কৌশলের মতো শোনাতে পারে। অনেক মানুষকে বেশিদিন বোকা বানাতে পারবেন না।আগামী দিনে বাংলাই দেশকে পথ দেখাবে। এই মাঠ থেকেই শুরু হবে লড়াই। নেতাজিকে সম্মান করতে চাইলে বাঙালিকে সম্মান করতে হবে।"
No comments:
Post a Comment